সুতোয় ঝুলছে প্রায় ২৬ হাজার চাকরি। প্রায় আড়াই মাস পর মঙ্গলবার ফের সুপ্রিম কোর্টে হতে চলেছে ২০১৬ SSCর প্যানেল বাতিল মামলার শুনানি। আজকের শুনানিতে যোগ্য ও অযোগ্যদের SSC সুনির্দিষ্টভাবে আলাদা করতে না পারলে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রাখতে পারে ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন - ‘কেষ্ট তো জেলে! আমরা জিতলাম? ইডি-সিবিআই দিয়ে জেতা যাবে না,’ হুঁশ ফেরালেন সুকান্ত
পড়তে থাকুন - কুলতলিতে সাদ্দামের খাট সরাতেই বেরিয়ে এল গোপন সুরঙ্গ, মিশেছে খালে! হতবাক পুলিশ
গত এপ্রিলে এক রায়ে ২০১৬ সালের SSCর গোটা প্যানেলটাই বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। যোগ্য ও অযোগ্যদের আলাদা করা সম্ভব নয় বলে SSC আদালতে জানানোয় এই নির্দেশ দিতে আদালত বাধ্য হয়েছে বলে জানান বিচারপতিরা। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় SSC. গত ৭ মে সেই মামলার শুনানিতে চাকরি বাতিলের নির্দেশে সাময়িক স্থগিতাদেশ জারি করে সর্বোচ্চ আদালত। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় নির্দেশে বলেন, ১৬ জুলাই পর্যন্ত সবার চাকরি বহাল থাকবে। প্যানেল থেকে অযোগ্যদের চিহ্নিত করা গেলে গোটা প্যানেল বাতিলের দরকার নেই। সেটা কি SSC করতে পারবে?
জবাবে SSCর আইনজীবী বলেন, CBI তদন্তে যে তথ্য পেয়েছে তা বিশ্লেষণ করে অযোগ্যদের চিহ্নিত করা সম্ভব। SSC দাবি করে যে ২৬ হাজার জনের চাকরি বাতিল হয়েছে তার মধ্যে প্রায় ১৯ হাজার যোগ্য। SSCর আইনজীবীর বক্তব্য শুনে আদালত জানায়, আপাতত চাকরি করতে পারবেন প্রত্যেকেই। তবে তাদের একটি মুচলেকা দিতে হবে। তাতে লিখতে হবে, অযোগ্য বলে চিহ্নিত হলে মে থেকে জুলাইয়ের বেতন ফেরাতে বাধ্য থাকব।
আদালতের সেই নির্দেশের পরই শুরু হয়ে যায় লোকসভা নির্বাচন। তার আগে আদালতের নির্দেশকে বড় জয় বলে দাবি করে তৃণমূল। এই নির্দেশে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা ভোট মেটার পর মঙ্গলবার ফের হতে চলেছে সেই মামলার শুনানি। আর তাতেই সবার নজর ফের একবার সুপ্রিম কোর্টের দিকে। SSC কি পারবে যোগ্য ও অযোগ্যদের প্রশ্নাতীতভাবে আলাদা করতে? আর পারলে হাইকোর্টেই তারা সেই তালিকা জমা দিল না কেন?
আরও পড়ুন - চলতি সপ্তাহ থেকে পোলট্রি মুরগি আসবে না বাজারে,পুলিশের জুলুম, আন্দোলনে ব্যবসায়ীরা
ওদিকে মামলাকারীদের আইনজীবীর দাবি, SSC যাদের অযোগ্য বলে উল্লেখ করছে তার বাইরেও বহু বেআইনি নিয়োগ রয়েছে। তাছাড়া SSCর কাছে এই সংক্রান্ত কোনও তথ্য নেই। অযোগ্যদের চিহ্নিত করতে তারা নির্ভর করছে CBIএর দেওয়া তথ্যের ওপর। আদালতের কাছে তা গ্রহণযোগ্য হয় কি না সেটাই দেখার।