২০১৮ সালের ১৬ই অগস্ট। ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে গিয়েছিলেন মেখলিগঞ্জের দাপুটে বাম নেতা পরেশ অধিকারী। পরের দিনই দেখা যায় এসএসসির চাকরি প্রার্থীদের তালিকায় জ্বলজ্বল করছে মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর নাম। তবে অভিযোগ ওঠে, প্রথম তালিকায় নাম ছিল না অঙ্কিতা অধিকারী। পরে দ্বিতীয় তালিকায় তার নাম দেখা যায়। এমনকী মৌখিক পরীক্ষায় না বসেও বেআইনীভাবে যোগ্য প্রার্থীকে টপকে তিনি শিক্ষিকার চাকরি পেয়ে যান বলে অভিযোগ। এনিয়ে বাংলা জুড়ে চরম জলঘোলা হয়। তবে তারপরেও তৃণমূল মন্ত্রিসভায় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর পদও জুটে যায় পরেশ অধিকারীর।
এবার সেই পরেশকেই মেয়ের চাকরির দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই জেরার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এমনকী তাঁকে মন্ত্রীর পদ থেকে সরানোর সুপারিশও করা হয়। সূত্রের খবর সিবিআই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ফোন সুইচড অফ ছিল। পরে তাঁকে মেইল করা হয়। কিন্তু এতসব কিছুর পরে কী বলছেন পরেশ?
এদিন মেখলিগঞ্জে দাঁড়িয়ে পরেশ বলেন, আমি কিছুই জানি না। সারা দিনই তো মিটিং মিছিল নিয়ে আছি। দেখলেনই তো। এদিকে এদিন দলের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতীম রায়ও তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তিনি এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে রাতে পরেশ অধিকারী জানিয়ে দেন, কোর্টের কাগজ পেলে যা বলার বলব। যা কিছু সবটাই তো একতরফা বলা হচ্ছে।
সূত্রের খবর রাতে তিনি বাগডোগরা থেকে কলকাতাগামী বিমান ধরার চেষ্টা করেন। এবার কি তিনি ডিভিশন বেঞ্চে যাবেন?