এই জ্বলন্ত সমস্যায় ঘৃতাহুতি দিলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) প্রাক্তন চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মণ্ডল। সংবাদমাধ্যমে তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের কাছের লোকেদের চাকরি দিতে গিয়ে চাপের মুখে কাজ করতে হয়েছে
এখন রাজ্য–রাজনীতিতে জ্বলন্ত ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে এসএসসি দুর্নীতি। আর তা নিয়ে সিবিআই শাসকদলের নেতা–মন্ত্রীদের টানাটানি করতে শুরু করেছে। আর এই জ্বলন্ত সমস্যায় ঘৃতাহুতি দিলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) প্রাক্তন চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মণ্ডল। সংবাদমাধ্যমে তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের কাছের লোকেদের চাকরি দিতে গিয়ে চাপের মুখে কাজ করতে হয়েছে। ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার আসার পর থেকে ২০১৩ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। তখনই তিনি চাপ টের পেয়েছেন।
কেমন চাপ টের পেয়েছেন? সংবাদমাধ্যমে তিনি দাবি করেন, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা, মন্ত্রীরা চাকরির সুপারিশ করে তালিকা পাঠাতেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় চাপে রেখেছিলেন। তবে বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু কখনও চাপ দেননি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নিয়ম মেনেই কাজ করতে বলেছিলেন। আর এখন যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। তা নিয়ে কী বলবেন? সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘প্যাডের পর প্যাড, নাম, সই। বড় বড় নেতা–নেত্রীরা গাড়ির ড্রাইভারকে দিয়ে পাঠিয়েছেন। বিভিন্ন জায়গা থেকে চাপ ছিল।’
আর ব্রাত্য বসু–মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কখনও চাপ দিয়েছিলেন? সংবাদমাধ্যমে এই প্রশ্নের জবাবে চিত্তরঞ্জন মণ্ডল বলেন, ‘ব্রাত্যবাবু কখনও আমায় কোনও চাপ দেননি। মুখ্যমন্ত্রী আমায় তাঁর চেম্বারে ডেকেছিলেন। উনি আমাকে পরিষ্কার ভাষায় বলেছিলেন, কোনওরকমের আপস করবেন না। আপনার সুবিধা মতো বা নিয়মকানুন বাঁচিয়ে রেখে আপনি কাজ করে যাবেন।’