চোরাপথে চাকরি পেয়েছেন অনেকেই। গোটা রাজ্য জুড়েই ছড়িয়ে রয়েছেন সেই গুণধর শিক্ষকরা। এবার নবম-দশম স্তরে অন্তত ১৮৩জনকে চিহ্নিত করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ২০জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে এনিয়ে হলফনামা জমা দিয়েছে কমিশন।
আসলে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নবম-দশমে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় এসএসসি ও সিবিআইয়ের কাছে বেআইনি নিয়োগের তালিকা তলব করেছিলেন। তারপরই এনিয়ে আদা জল খেয়ে ময়দানে নেমে পড়ে কমিশন।
সূত্রের খবর, ২০১৬ সালের স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্টের ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্তদের তালিকা আনা হয়। এরপর কমিশনের কাছে থাকা তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখে আপাতত ১৮৩জনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে। এরপরই তাদের চিহ্নিত করা হয়। তাদের মধ্যে ২০জনের চাকরি নট করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এবার দেখে নেওয়া যাক কোন জেলায় কতজন অবৈধ শিক্ষক রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদে বেআইনি নিয়োগপ্রাপ্তদের সংখ্যা আপাতত সবথেকে বেশি, ৩৭জন। পূর্ব মেদিনীপুরে ১০, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২৯, কলকাতায় ৭, বর্ধমানে ৬, বীরভূমে ৫, বাঁকুড়ায় ২, পশ্চিম মেদিনীপুরে ও উত্তর ২৪ পরগনায় ৩জন করে অবৈধ শিক্ষক রয়েছেন বলে অভিযোগ। এর সঙ্গেই যুক্ত হয়েছে উত্তরবঙ্গের তালিকাও। আলিপুরদুয়ারে ৩জন, কোচবিহারে ১২জন, জলপাইগুড়িতে ৮জন, উত্তর দিনাজপুরে ১৩জনের নাম ওই তালিকায় রয়েছে। আর যাদের বরখাস্ত করা হয়েছে তার মধ্যে মালদা, মুর্শিদাবাদ, দুই দিনাজপুর ও হাওড়ার শিক্ষকরা রয়েছেন।
এদিকে নিজেদের ইচ্ছাতেই চাকরি ছেড়ে দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন বিচারপতি। সেক্ষেত্রে জেলায় জেলায় কয়েকজন ইতিমধ্যেই স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন বলে খবর। রাতের ঘুমও উড়ে গিয়েছে শাসকঘনিষ্ঠ অনেকেরই। এই সংখ্যাটা প্রায় ৮,১৬৩জন হতে পারে বলে খবর।