লোকসভা নির্বাচনের মাঝে রাজ্য সরকার জোর ধাক্কা খেল এসএসসি নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায়। আজ হাই কোর্ট এই মামলায় রায় দিয়ে জানিয়ে দিল, মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেলে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের চাকরি বৈধ হতে পারে না। এই আবহে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করে উচ্চ আদালত। এদিকে ভোটের আবহে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দ্বাদশের ২০১৬ প্যানেল বাতিল হওয়ায় জোর ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। অন্যদিকে চাকরিহারাদের ৪ সপ্তাহের মধ্যে সব বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। (আরও পড়ুন: 'বাড়ি ফিরতে পারবেন না…', এবার IPAC নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের)
আরও পড়ুন: বসিরহাটে রামভক্তদের জল খাওয়ালেন মুসলিমরা, সম্প্রীতির সুরে উঠল 'জয় শ্রীরাম' ধ্বনি
এদিকে বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ সবির রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ আজ জানিয়ে দেয়, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত জারি রাখবে সিবিআই। নির্দেশে বলা হয়েছে, 'যাকে প্রয়োজন, তাকেই হেফাজতে নিতে পারবে সিবিআই'। অপরদিকে এসএসসি-কে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুরও নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। এর পাশাপাশি এসএসসির সার্ভারে দ্রুত ওএমআর শিট আপলোড করতে বলেছে হাই কোর্ট।
আরও পড়ুন: দেশের সম্পদ মুসলিমদের দেওয়ার কথা বলেছিলেন মনমোহন? মোদীর দাবির সত্যতা কতটা?
ওদিকে বেআইনি পথে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের সুদ সমেত সব বেতন ফেরাতে হবে। প্রাপ্ত বেতনের ওপর ১২ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে চাকরিহারাদের। এর জন্যে চাকরিহারাদের ৪ সপ্তাহ সময় দিয়েছে হাই কোর্ট। এই টাকা জেলাশাসকের কাছে জমা করতে হবে তাঁদের। পরে জেলাশাসক পরবর্তী ২ সপ্তাহের মধ্যে ওই টাকা হাই কোর্টে জমা দেবেন। এদিকে সব নিয়োগ বাতিল হলেও একজনকে চাকরিতে বহাল রাখার কথা জানিয়েছে উচ্চ আদালত। হাই কোর্টে আজ বিচারপতি বসাক জানান, সোমা দাস নামক এক ক্যানসার আক্রান্ত চাকরিপ্রাপককে মানবিক কারণে চাকরিতে বহাল রাখা হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে বিচারপতি থাকাকালীন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই মামলায় প্রায় ৫ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে সুপ্রিম কোর্টে এই নিয়ে মামলা করেছিলেন চাকরিপ্রাপকরা। পরে সেই মামলা শীর্ষ আদালত থেকে হাই কোর্টের বিশেষ বেঞ্চে পাঠানো হয়। ৬ মাসের মধ্যে বিচার শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই মতো এসএসসি গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম দশম ও একাদশ-দ্বাদশের নিয়োগ সংক্রান্ত শুনানি চলছিল এতদিন। আজ এই মামলার রায়তে বড় ধাক্কা খেলেন চাকরিপ্রাপক এবং রাজ্য সরকার। উল্লেখ্য, চাকরিপ্রাপকদের হয়ে মামলা লড়া আইনজীবীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে আজকের বিশেষ বেঞ্চের রায়তে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রায় সব রায়ই বহাল থাকল।