হাই কোর্টের নির্দেশে ইতিমধ্যেই ১৮৩ জন ‘অযোগ্য’ শিক্ষকের নাম প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এরইমধ্যে আরও ৪০ জনের চাকরির ওপর ‘নজর’ পড়েছে উচ্চ আদালতের। ইতিমধ্যেই নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ৪০টি ওএমআর শিটের ‘বৈধতা’ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। তদন্তকারীদের অনুমান, এই ৪০ ওএমআর শিটের ক্ষেত্রেও কমিশনের সুপারিশ ছিল। এই নিয়ে শুক্রবার বৈঠক হয়েছিল আচার্য ভবনে।
জানা গিয়েছে, এই ৪০ জনের মধ্যে বাংলার শিক্ষক রয়েছেন ২১ জন, ইতিহাসের শিক্ষক রয়েছেন ১০ জন, জীবনবিজ্ঞানের শিক্ষক ৩ জন, ইংরাজি শিক্ষক রয়েছেন ৪ জন, ভৌতবিজ্ঞানের ১ জন, ভূগোলের ১ জন। অভিযোগ উঠেছিল, ৪০ জন চাকরিপ্রার্থীর ওএমআর শিটে কারচুপি করে তাদের নাম প্যানেলে তোলা হয়েছিল। এই আবহে এই ৪০ চাকরিপ্রার্থীর ওএমআর শিট নিয়ে বৈঠক করে সিবিআইকে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই মতো এসএসসি ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আধিকারিক, মামলাকারীদের আইনজীবী এবং সিবিআইয়ের প্রতিনিধিরা গত শুক্রবার বৈঠক করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, স্কুল সার্ভিস কমিশন নিয়োগ পদ্ধতি স্বচ্ছ করতেই এই ওএমআর শিটের ব্যবহার শুরু করেছিল। এই ওএমআর শিটে কারচুপির সম্ভাবনা কম থাকে সাধারণত। তবে অভিযোগ, ওই ৪০ জনের ওএমআর শিট কারচুপি করে প্যানেলে নাম তোলা হয়। এদিকে আদালতের নির্দেশে যে ১৮৩ জন ‘অযোগ্য’ শিক্ষকের তালিকা কমিশন প্রকাশ করেছে, তাতে রয়েছেন ৫৭ জন ইংরাজির শিক্ষক, ৩০ জন ভূগোলের শিক্ষক, ২২ জন জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষক, ২১ জন বাংলার শিক্ষক, ১৮ জন অঙ্কের শিক্ষক, ১৮ জন ভৌত বিজ্ঞানের শিক্ষক এবং ১৭ জন ইতিহাসের শিক্ষক।