সিবিআই সংখ্যাটা বলেছে ৯৫২। কিন্তু ২০১৬ সালের নবম-দশম শ্রেণির নিয়োগে ১৮৩ জনকে ভুয়ো সুপারিশ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। সেই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবারই ভুয়ো শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে না বলে জানালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
২০১৬ সালের নবম-দশম শ্রেণির নিয়োগে ১৮৩ জনকে ভুয়ো নিয়োগপত্র পেয়েছে বলে দাবি করেছিল এসএসসি। সেই পরিস্থিতিতে বুধবার দুপুরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, যাঁরা বেআইনিভাবে ভুয়ো সুপারিশপত্র পেয়েছেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের নামের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। কমিশনের ওয়েবসাইটে সেই তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেন বিচারপতি।
পরে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই জানায়, এসএসসি যে সংখ্যাটা জানিয়েছে, তার থেকে নবম-দশম শ্রেণির নিয়োগে বেআইনিভাবে সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীর সংখ্যা ঢের বেশি। ৯৫২ জনকে ভুয়ো সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের অধিকাংশ এখনও চাকরি করছেন। খুব কম প্রার্থী এখনও ‘ওয়েটিং লিস্ট’-এ আছেন বলে দাবি করেছে সিবিআই।
আরও পড়ুন: অবসরের পর রাজনীতি করার মঞ্চ তৈরি করছেন অরণ্যদেব গাঙ্গুলি, বেলাগাম আক্রমণ TMC-র
সেই পরিস্থিতিতে দুপুরের নির্দেশ কিছুটা সংশোধন করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আগামিকাল (বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর) দুর্নীতি মামলার বিস্তারিত শুনানি হবে। তারপরই প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবেন। সেইসঙ্গে দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে কেন সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে রাজ্য, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি। তাঁর পর্যবেক্ষণ, দুর্নীতি মামলায় তো হাইকোর্টকে সহায়তা করা উচিত রাজ্যের। উলটে রাজ্য সরকার স্থগিতাদেশ আনার চেষ্টা করেন।
আরও পড়ুন: পদ তৈরির জন্য আইনি পরামর্শ নিতে আমিই বলেছিলাম, স্বীকারোক্তি ব্রাত্যর
তারইমধ্যে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চান, নবম-দশম শ্রেণির নিয়োগ দুর্নীতিতে কী কী বেআইনি কাজ খুঁজে পেয়েছে কমিশন? সেই প্রেক্ষিতে স্কুল সার্ভিস কমিশন জানিয়েছে, মেধাতালিকায় নীচের দিকে থাকা প্রার্থীদের তুলে এনে উপরের দিকে করে দেওয়া হয়েছে।