নিয়োগ দুর্নীতিতে রোজই উঠে আসছে নতুন নতুন বেনিয়মের খবর। এবার অভিযোগ উঠল শুধু বেআইনিভাবে নিয়োগপত্র দেওয়াই নয়, অযোগ্যদের নিয়োগ করা হয়েছে আইনকানুনের পরোয়া না করে। দুর্নীতি করে জারি করা নিয়োগপত্রে ১৫ দিনের মধ্যে কাজে যোগদান করতে হবে বলে উল্লেখ থাকলেও লকডাউনের জেরে স্কুল বন্ধ থাকায় অনেকেই যোগদান করেছেন ৬ মাস থেকে ১ বছর পরে।
স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের একাংশের অভিযোগ, গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ চলেছে লকডাউনের মধ্যেও। টাকার বিনিময়ে অযোগ্য প্রার্থীদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়ার পর দেখা যায় স্কুল বন্ধ। ফলে তাদের কাজে কী করে যোগদান করানো হবে তা নিয়ে সমস্যা দেয়। এব্যাপারে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে মৌখিক ও লিখিতভাবে প্রশ্ন করে কোনও জবাব পাওয়া যায়নি বলে দাবি ওই আধিকারিকদের। এর কোনও জবাব পর্ষদের তরফে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। উলটে জানিয়ে দেওয়া হয়, নিয়োগপত্র যত পুরনোই হোক না কেন তাকে কাজে যোগদান করাতে হবে। যার ফলে ৬ মাস, এমনকী ১ বছরের পুরনো নিয়োগপত্র নিয়ে এলেও কাজে যোগদান করাতে হয়েছে স্কুলগুলিকে। চাকরিতে যোগদান করাতে ব্যবহার করা হয়েছে মিড - ডে মিল বিতরণের দিনগুলিকে।
শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের একাংশ জানিয়েছেন, লকডাউনের মধ্যে নিয়োগ শেষ করার উদ্যোগ ছিল চোখে পড়ার মতো। যার জেরে রাত ১০টাতেও ভিডিয়ো কনফারেন্সিং করে জেলার আধিকারিকদের নির্দেশ দিতেন শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন। অভিযোগ, SSC-র আধিকারিকদের একাংশও যুক্ত এই দুর্নীতির সঙ্গে।