শূন্যপদ না থাকলেও বাড়ির পাশের স্কুলেই চাকরি হয় অঙ্কিতার, CBIকে জানালেন ববিতা

সূত্রের খবর, ববিতা সিবিআই আধিকারিকদের জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের অগাস্টে পরেশচন্দ্র অধিকারী তৃণমূলের যোগদানের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বদলে যায় মেধাতালিকা। একেবারে শীর্ষে চলে আসে তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর নাম।

অঙ্কিতা অধিকারী ও ববিতা সরকার। ফাইল ছবি

SSC নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম মামলাকারী ববিতা সরকারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেলেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। এই ববিতা সরকারের করা মামলার ভিত্তিতেই রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই ববিতা গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন, শূন্যপদ না থাকলেও বাড়ির কাছের স্কুলে নিয়োগ পেয়েছিলেন অঙ্কিতা।

বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের আবেদনে সাড়া দিয়ে নিজাম প্যালেসে হাজির হন ববিতা সরকার। সঙ্গে ছিলেন তাঁর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। সেখানে প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে মামলার বিষয়ে ববিতা ও তাঁর আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন গোয়েন্দারা। কী তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছেন তা বিস্তারে জানতে চান তাঁরা। এই তথ্যপ্রমাণ ববিতা কোথা থেকে জোগাড় করেছেন তাও জানতে চায় সিবিআই।

সূত্রের খবর, ববিতা সিবিআই আধিকারিকদের জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের অগাস্টে পরেশচন্দ্র অধিকারী তৃণমূলের যোগদানের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বদলে যায় মেধাতালিকা। একেবারে শীর্ষে চলে আসে তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর নাম। অঙ্কিতার থেকে ১৬ নম্বর বেশি পেলেও তাঁর নাম চলে যায় দ্বিতীয় স্থানে। এর তিন মাসের মধ্যে বাড়ির পাশের স্কুলে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা হিসাবে যোগদান করেন অঙ্কিতা।

ববিতা সিবিআইকে জানিয়েছেন, দ্বিতীয় কাউন্সিলিংয়ে শূন্যপদের যে তালিকায় অঙ্কিতার স্কুল মেখলিগঞ্জ ইন্দিরা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের নাম ছিল না। শূন্যপদ ছিল ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি গার্লস হাই স্কুলের। শূন্যপদ না থাকলেও মন্ত্রীকন্যাকে বাড়ির পাশে ইন্দিরা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়েই বদলি করা হয়। বলে রাখি, ওই স্কুলেরই ছাত্রী ছিলেন অঙ্কিতা।

ববিতার আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানিয়েছেন, ‘আমাদের কাছে যা তথ্য রয়েছে সব সিবিআইকে দিয়েছি। আমরা চাই সিবিআই দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দিক আর বঞ্চিতদের চাকরির ব্যবস্থা করুক।’