বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > SSC Recruitment Scam: বেআইনিভাবে নবম-দশমে কতজনের চাকরি? ১৩,০০০ নামের তালিকা জমা পর্ষদের, এবার কী হবে?

SSC Recruitment Scam: বেআইনিভাবে নবম-দশমে কতজনের চাকরি? ১৩,০০০ নামের তালিকা জমা পর্ষদের, এবার কী হবে?

শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কলকাতায়। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে পিটিআই)

SSC Recruitment Scam: হাইকোর্টের নির্দেশ মতো বৃহস্পতিবার বৈঠক করেন কমিশন, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং মামলাকারীর আইনজীবীরা। নবম-দশম শিক্ষক পদে কতজনকে বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছে, তা খুঁজে বের করতে সেই বৈঠকেই ১৩,০০০ নামের তালিকা দেয় পর্ষদ।

নবম-দশম শিক্ষক পদে কতজনকে বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছে? তা খতিয়ে দেখতে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে ১৩,০০০ নামের তালিকা দিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। যে তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে একটি নিয়োগ রিপোর্ট তৈরি করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। আগামী বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। 

হাইকোর্টের নির্দেশ মতো বৃহস্পতিবার বৈঠক করেন কমিশন, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং মামলাকারীর আইনজীবীরা। বৈঠকে হাজির ছিলেন কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। নবম-দশম শিক্ষক পদে কতজনকে বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছে, তা খুঁজে বের করতে সেই বৈঠকেই ১৩,০০০ নামের তালিকা দেয় পর্ষদ। সেই তালিকার প্রতিলিপি সবপক্ষের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পর্ষদের তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে এবার কমিশনকে নয়া একটি রিপোর্ট তৈরি করতে হবে। সেটাই জমা পড়বে হাইকোর্টে।

আরও পড়ুন: Primary TET Scam: অকল্পনীয় দুর্নীতি! প্রাথমিক TET-এ CBI রিপোর্ট দেখে বললেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

কমিশনের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, পর্ষদের তালিকা খতিয়ে দেখা হবে। হাতে থাকা তালিকার সঙ্গে পুরোটা মিলিয়ে দেখবে কমিশন। তার ভিত্তিতে একটি রিপোর্ট তৈরি হবে। যা বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টে জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কমিশনের চেয়ারম্যান। অর্থাৎ হাতে বেশি সময় নেই কমিশনের। দ্রুত সেই রিপোর্ট তৈরি করতে হবে।

কেন ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হল?

গত বুধবার এসএসসি নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলার শুনানিতে সেই ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানান, পুজোর আগেই নিয়োগপত্র দিতে হবে নবম-দশমের যোগ্য প্রার্থীদের। তিনটি পক্ষকে (কমিশন, পর্ষদ এবং মামলাকারী) বৈঠকে বসে বেআইনিভাবে চাকরিপ্রাপকদের তালিকা তৈরি করতে হবে। যা ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আদালতে জমা দিতে বলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে আরও একবার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, যাঁরা বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছে, তাঁদের বরখাস্ত করা হবে।

আরও পড়ুন: লোকের কাছে কী জবাব দেব? পার্থর ঘাড়ে দুর্নীতির দায় ঠেলে প্রশ্ন সৌগতর

হাইকোর্টের সেই নির্দেশের ২৪ ঘণ্টা পরেই কমিশনের বৈঠকে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়। কমিশনের সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হবে। তারপর শূন্যপদে মেধাতালিকাভুক্ত যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে কমিশনকে। কারণ পুজোর আগেই যোগ্য প্রার্থীদের সুপারিশপত্র দিতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'পাঁচ মাস হল এই দুর্নীতির তদন্তভার সিবিআইকে দিয়েছি। আর অপেক্ষা করা যাবে না। যোগ্য প্রার্থীদের ভোগান্তি আর বৃদ্ধি করা যাবে না।'

বন্ধ করুন