তবে কি তৃণমূলের অন্দরে চাপের মুখে পড়ে অবস্থান বদলে ফেললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু? ঘুরপথে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন তাঁদের চাকরি রক্ষার আশ্বাসও দিলেন তিনি। এমনকী অতীতেও যদি এমন হয়ে থাকে তবে চাকরি থাকবে তাঁদেরও। আশ্বাস শিক্ষামন্ত্রীর।
বুধবার একটি টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী যেটা বলেছেন আমরা কারোর চাকরি খেতে চাই না। যা নিয়ে বিতর্ক আছে, সমস্য়া আছে সেই চাকরিও রক্ষা করতে চাই। অতীতে গোলমাল করেও কেউ যদি চাকরি পেয়ে থাকেন তবে সেই চাকরিও রক্ষা করতে চাই। এর সঙ্গেই চাই যোগ্যরাও যেন বঞ্চিত না হন।
এদিকে মঙ্গলবারই শিক্ষামন্ত্রী বিকাশভবনে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন, আদালতের নির্দেশ মতো যাবতীয় কাজ করতে প্রস্তুত রাজ্য সরকার। আদালতের মতোই রাজ্য সরকার চায় যে দ্রুত নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় জটিলতা কেটে যাক। যোগ্য প্রার্থীদের হাতে চাকরি তুলে দেওয়া হোক। শুধু তাই নয়, ব্যতিক্রমীভাবে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন তাঁদের চাকরি কেড়ে নিতেও রাজি আছে সরকার। যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হবে। তিনি জানিয়েছিলেন, বেআইনিভাবে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন আদালতের নির্দেশ পেলে তাঁদের বরখাস্ত করতে রাজ্য সরকার রাজি হলেও কারও চাকরি চলে যাক সেটা চান না মুখ্যমন্ত্রী।
অন্যদিকে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে ব্রাত্য় বসু বলেন, এতে বিরোধীদের প্ররোচনা আছে। আন্দোলনকারীদের একাংশকেও তিনি কার্যত কটাক্ষ করেন। শিক্ষাদান করা নাকি আন্দোলন করা কোনটা সহজ বলেও শিক্ষামন্ত্রীর সংযোজন।
পাশাপাশি বিজেপি শাসিত রাজ্য়ের প্রসঙ্গ তুলেও তিনি বিরোধীদের তুলোধোনা করেন। জাতীয়স্তরে একাধিক দলের মধ্য়ে দ্বন্দ্বকে ঘিরেও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়ার পরে সেই ওয়াশিং মেশিনের তত্ত্বও হাজির করেন তিনি।