SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২টি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার বিপুল টাকা তার নয় বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এবার এই নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন পার্থর সঙ্গিনী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ও। মঙ্গলবার জোকা ESI হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে ঢোকার সময় তিনি বলেন, ফ্ল্যাটে যে অত টাকা রয়েছে তা জানা ছিল না তাঁর।
মঙ্গলবার দুপুরে কড়া নিরাপত্তায় আদালতের নির্দেশ মেনে অর্পিতা ও পার্থকে জোকা ESI হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে নিয়ে যায় ইডি। সেখানে গাড়ি থেকে নেমে হুইল চেয়ারে বসেন অর্পিতা। তবে রবিবারের মতো এদিন আর কান্নাকাটি করতে দেখা যায়নি তাঁকে। বরং বেশ বলিষ্ঠ ছিল তাঁর মুখভঙ্গি। সাংবাদিকদের দেখে বলে অর্পিতা বলে ওঠেন, ‘এই টাকা আমার নয়। আমার অনুপস্থিতিতে, অজান্তে ঘরে এই টাকা ঢোকানো হয়েছে। ’
Jharkhand MLAs Nabbed By CID: ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ককে কলকাতায় কে টাকা দিয়েছিলেন?
এই প্রথম প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করলেন অর্পিতা। তাঁর মন্তব্য ঘিরে উঠছে নানা প্রশ্ন। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি তাঁর ফ্ল্যাটের চাবি থাকত অন্য কারও কাছে? টাকা কী ভাবে ঢুকত আবাসনে? কে অর্পিতার ফ্ল্যাটে রেখে যেত বিপুল টাকা? দিনের পর দিন টাকা রাখা হলেও কেন জানতে পারলেন না অর্পিতা?
বলে রাখি, এর আগে ইডি সূত্রে জানা যায়, জেরায় অর্পিতা জানিয়েছেন, ঘরে যে টাকা রাখা আছে তা তাঁর জানা ছিল না। যে ঘরে টাকা থাকত সেখানে ঢোকার অনুমতি ছিল না তাঁর। সেই ঘরে ঢুকতেন শুধু পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
ওদিকে রবিবার স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘টাকা আমার নয়। কার টাকা সেটা সময় এলে জানতে পারবেন’। তবে এদিন কোনও মন্তব্য করেননি তিনি।
Jagaddal: মোবাইল চোর সন্দেহে যুবককে হাত পা বেঁধে গণপিটুনি, জগদ্দলে মৃত্যু যুবকের
২ জনই টাকার দায় অস্বীকার করায় প্রশ্ন উঠছে, টাকা তাহলে কার? উদ্ধার হওয়া প্রায় ৫০ কোটি টাকার মালিক কে? অন্য কারও টাকা লুকিয়ে রাখার দায়িত্ব পার্থবাবু নিয়েছিলেন কার স্বার্থে? এই ঘটনায় ইতিমধ্যে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে কার ষড়যন্ত্র তা এখনো বলেননি তিনি। ওদিকে এব্যাপারে ইডির তরফেও এখনো কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ২২ জুলাই অর্পিতার টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে বিপুল টাকা উদ্ধারের পর থেকে অর্পিতা ও পার্থর সম্পত্তি খুঁজতে ব্যস্ত তারা।
বলে রাখি, গত রবিবার হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন অর্পিতা। গাড়ি থেকে নামতে চাইছিলেন না তিনি। কোনও ক্রমে টেনে তাঁকে গাড়ি থেকে নামানো হলে রাস্তাতেই বসে পড়েন তিনি।