বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > টাকা তৃণমূলের, জড়িত গোটা মন্ত্রিসভা, একযোগে দাবি বাম - বিজেপির

টাকা তৃণমূলের, জড়িত গোটা মন্ত্রিসভা, একযোগে দাবি বাম - বিজেপির

অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার টাকা। (PTI)

সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘তৃণমূলের লুঠের টাকা। সেটা বিভিন্ন জায়গায় রাখা হতো। ক্রমশ সেটা স্পষ্ট হচ্ছে। সবাই জানেন। এর পরিমান ওই ৫০ কোটি নয়। হাজার হাজার কোটি টাকা লুকানো রয়েছে। এটা ২৫ ভাগ।

উদ্ধার হওয়া টাকা তাঁর নয়। মঙ্গলবার অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের এই দাবির পর ফের একবার তৃণমূলকে একযোগে আক্রমণ করল বিরোধীরা। এদিন বাম ও বিজেপির তরফে একযোগে দাবি করা হয়, উদ্ধার হওয়া টাকা তৃণমূলের। পালটা তৃণমূলের দাবি, টাকা কার তা খুঁজে বার করুক ইডি।

এদিন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘যা হয়েছে সেটা জনমানসে প্রতিষ্ঠিত। কোন দিন বলবে, ওটা টাকা ছিল না মুরগির ডিম ছিল। কে বা কারা ওখানে পৌঁছেছেন। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে আবাসনটি ছিল। সেখানে তৃণমূলের মন্ত্রীসহ অন্যদের আনাগোনা ছিল। এবং তার বক্তব্যে উঠে আসছে টাকা অন্যরা ঢুকিয়েছে। এটা একটা পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি। সংগঠিত অপরাধ। মানুষের জীবন যৌবনকে লুঠ করার অপরাধ। এই অপরাধে একা পার্থ চট্টোপাধ্যায় অপরাধী এটা মানুষ মনে করছে না। আমরাও মনে করছি না। এখানে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় কার্যত অপ্রাসঙ্গিক। একা অর্পিতার পক্ষে এত বড় সাম্রাজ্যের মালিক হওয়া সম্ভব নয়। সে একটা দাবার বোড়ে। এই ঘটনার সঙ্গে গোটা তৃণমূল দল জড়িত। গোটা তৃণমূলের মন্ত্রিসভা জড়িত’।

সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘তৃণমূলের লুঠের টাকা। সেটা বিভিন্ন জায়গায় রাখা হতো। ক্রমশ সেটা স্পষ্ট হচ্ছে। সবাই জানেন। এর পরিমান ওই ৫০ কোটি নয়। হাজার হাজার কোটি টাকা লুকানো রয়েছে। এটা ২৫ ভাগ। ৭৫ ভাগ কোথায়? দুবাইতে? সিঙ্গাপুরে? বাংলাদেশে? না কি অন্য কোথাও? এই টাকাগুলো দিয়েই বোর্ড দখল হত। এই টাকা দিয়েই মানুষের ওপরে নির্যাতন হতো’।

মঙ্গলবার দুপুরে কড়া নিরাপত্তায় আদালতের নির্দেশ মেনে অর্পিতা ও পার্থকে জোকা ESI হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে নিয়ে যায় ইডি। সেখানে গাড়ি থেকে নেমে হুইল চেয়ারে বসেন অর্পিতা। তবে রবিবারের মতো এদিন আর কান্নাকাটি করতে দেখা যায়নি তাঁকে। বরং বেশ বলিষ্ঠ ছিল তাঁর মুখভঙ্গি। সাংবাদিকদের দেখে বলে অর্পিতা বলে ওঠেন, ‘এই টাকা আমার নয়। আমার অনুপস্থিতিতে, অজান্তে ঘরে এই টাকা ঢোকানো হয়েছে। ’

এই প্রথম প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করলেন অর্পিতা। তাঁর মন্তব্য ঘিরে উঠছে নানা প্রশ্ন। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি তাঁর ফ্ল্যাটের চাবি থাকত অন্য কারও কাছে? টাকা কী ভাবে ঢুকত আবাসনে? কে অর্পিতার ফ্ল্যাটে রেখে যেত বিপুল টাকা? দিনের পর দিন টাকা রাখা হলেও কেন জানতে পারলেন না অর্পিতা?

 

বন্ধ করুন