আগেই মন্ত্রীত্বের সব পদ থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন দলের সমস্ত পদ থেকেও এবার সরানো হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। কার্যত পার্থর কোনও দায় নিতে চাইল না তৃণমূল। পার্থ খাদে পড়তেই কার্যত সরে এল তৃণমূল। এর সঙ্গেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে হবে। ততদিন পর্যন্ত তাকে দলের সমস্ত পদ থেকে অপসারিত করা হল।
এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, পারিপার্শ্বিক ঘটনায় যা বোঝা যাচ্ছে তাতে তিনি জড়িত থাকতে পারেন অথবা হতে পারে তিনি মহিলাদের সঙ্গে এনিয়ে জড়িত ছিলেন। এরপরই তিনি জানিয়ে দেন বেনিফিট অফ ডাউট আমাদের শুধু বাংলার মানুষের জন্য, কোনও বিশেষ নেতার জন্য নয়। এমন কোনও ব্যক্তির জন্য নয় যিনি তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মানুষই আমাদের সম্পদ। এটা জনগণের পার্টি। মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে বিশ্বাস করে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে যে পার্থ দিন কয়েক আগেও ছিলেন দলের একেবারে প্রথম সারিতে, একেবারে মহাসচিব পদে, তার পাশ থেকে সরে এল ঘাসফুল শিবির। দলের টাকা নয়বলেও দাবি অভিষেকের। অভিষেক কার্যত জানিয়ে দিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিজেকেই নির্দোষ প্রমাণ করতে হবে। এনিয়ে কুণালের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন অভিষেক। তবে এর সঙ্গেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন তিনি। এমনকী কালো টাকা এতদিন ধরে কেন উদ্ধার হল না তার দায়ও কেন্দ্রীয় সরকারের ঘাড়ে চাপিয়ে দিল তৃণমূল।