কী ভাবে তদন্ত করবেন রোজ রোজ বলে দিতে হবে কেন? CBI-কে চরম ভর্ৎসনা বিশ্বজিৎ বসুর
বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
সপ্তাহের প্রথম দিন আদালত বসতেই শিক্ষক নিয়োগ মামলায় ফের আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়ল সিবিআই। নবম – দশম নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই আধিকারিকদের অপদার্থতায় ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বিচারপতির একের পর এক প্রশ্নের মুখে কার্যত বোবা হয়ে যান সিবিআইয়ের আইনজীবী।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিবিআইয়ের অপদার্থতায় বিরক্তি প্রকাশ করে গত শুক্রবার তদন্তকারী আধিকারিকদের সম্পত্তির হিসাব পেশের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার যে আবহে আদালতের কাজকর্ম বন্ধ হয়েছিল সোমবার কার্যত চালু হল সেখান থেকেই। বদলাল শুধু এজলাস। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর এবার সিবিআইয়ের তৎপরতায় ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিচারপতি বসু।
এদিন নবম – দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে বিচারপতি বসু প্রশ্ন সিবিআইয়ের আইনজীবীকে করেন, ‘চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? যারা টাকা দিয়েছেন, যারা নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? আদালত কেন বার বার একে ওকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি বলে প্রশ্ন তুলছে’? বিচারপতির একের পর এক প্রশ্নে কার্যত বাকরুদ্ধ হয়ে যান সিবিআইয়ের আইনজীবী।
এখানেই থামেননি বিচারপতি। এর পর তিনি প্রশ্ন করেন, ‘যারা ওএমআর শিট বিকৃত করেছেন তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? সিবিআই কী ভাবে তদন্ত করবে সেটা কেন বার বার আদালতকে বলে দিতে হবে? সিবিআই – কমিশন কী ভাবে কাজ করবে সেটা আদালতকে বারবার বলে দিতে হচ্ছে? এটা ভালো দেখায় না। কেন দুর্নীতিতে যুক্তদের প্রতি এত সদয় সিবিআই? ৬ বছরে তো অনেকে টাকা পাচার করে দিয়েছে'।
রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করছে সিবিআই। আর বারবার আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যে ২ বার তদন্তকারী আধিকারিক বদলের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে তাতেও তদন্তের অগ্রগতিতে খুশি নয় আদালত।