২২ কোটি টাকা তো নস্যি। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে শয়ে শয়ে কোটি টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে পাচার হয়েছে বলে মনে করছেন ইডির তদন্তকারীরা। তল্লাশির সময় উদ্ধার একাধিক সূত্র থেকে এমনই আশঙ্কা করছিলেন তাঁরা। তাঁদের অনুমান ওই ২২ কোটিও বিদেশে পাচারের পরিকল্পনা ছিল অভিযুক্তদের।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে শনিবার বিকেলে তারা যখন অর্পিতার ডায়মন্ড সিটি সাউথের ফ্ল্যাটে তল্লাশি শুরু করেন আলমারি থেকে বেশি টাকা পাওয়া যায়নি। শোয়ার ঘরের এক পাশে কাগজ ও ডাক্ট টেপ দিয়ে মুড়িয়ে রাখা ছিল বেশ কিছু বান্ডিল। তার মধ্যে একটি বান্ডিল খুলতেই বেরিয়ে বড়ে টাকার তোড়া। এর পর একের পর এক বান্ডিল খুলে মেলে ৫০০ ও ২০০০ টাকার নোট। যার মোট মূল্য ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা বলে জানিয়েছে ইডি।
একই সঙ্গে অর্পিতার ফ্ল্যাটে তল্লাশিতে তার সঙ্গে একাধিক বিদেশি ব্যবসায়ীর যোগ পাওয়া গিয়েছে। তাঁর ঘরে পাওয়া গিয়েছে বাংলাদেশ সরকারের শুভেচ্ছাস্মারক দেওয়া হয়েছে এমন একটি ব্যাগ। সেই ব্যাগের ওপর ছাপা মুজিবর রহমানের ছবি।
গোয়েন্দাদের অনুমান, অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে হাওয়ালার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। কারণ যে ভাবে টাকা ডাক্ট টেপ দিয়ে মোড়ানো ছিল তা হাওলার কারবারিরাই করে থাকেন।
কাদের সঙ্গে অর্পিতার যোগাযোগ ছিল তা জানতে প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছেন ইডির গোয়েন্দারা। অর্পিতার ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া ২০টি মোবাইল ফোনের প্রতিটিতে ব্যবহার হওয়া ফোন নম্বরগুলি খুঁজে বার করছেন তাঁরা। তার পর সেই নম্বরগুলি থেকে কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল তা জানতে যোগাযোগ করা হচ্ছে সার্ভিস প্রোভাইডারদের সঙ্গে। গোয়েন্দাদের অনুমাত, তালিকা হাতে এলে আরও নাম প্রকাশ্যে আসতে পারে।