নবম দশমে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার আদালতের তোপের মুখে আলিপুর আদালত। ক্ষুব্ধ বিচারপতি সোমবার প্রশ্ন করেন, চার্জশিটে যাদের নাম রয়েছে তাদের অনেকের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কয়েকজন জেলে থাকবে, কয়েকজন ঘুরে বেড়াবে? প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি।
পাশাপাশি কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলাতেও সিবিআইকে নিশানা করে তোপ দাগেন আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারপতি।
সূত্রের খবর, চার্জশিটে নাম থাকা সত্ত্বেও কেন বাকিদের গ্রেফতার করা হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি। তবে কেন তাদের গ্রেফতার করা হয়নি তা নিয়ে সিবিআই আদালতের কাছে রিপোর্ট আকারে নথি পেশ করেছিল। কিন্তু সেই রিপোর্টে সন্তুষ্ট নয় আদালত। আদালত সিবিআইয়ের জবাবে একেবারে সন্তুষ্ট নয়। সব মিলিয়ে সিবিআইয়ের কাছে আদালতের প্রশ্ন, চার্জশিটে যাদের নাম রয়েছে তাদের অনেকের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কয়েকজন জেলে থাকবে, কয়েকজন ঘুরে বেড়াবে?
তবে এর আগেও গত ডিসেম্বর মাসে এই নবম দশম মামলায় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছিলেন সেই সময়, আমার বিশ্বাস এবার বড় ইঁদুর জালে উঠবে। বিচারপতির এই মন্তব্যের পরে গোটা বাংলা জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। সেই ধেড়ে ইঁদুর কে তা নিয়ে বিচারপতি অবশ্য সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি। তবে সেই ধেড়ে ইঁদুরকে ঘিরে নানা চর্চা শুরু হয়েছিল বাংলা জুড়ে।
এমনকী সেই সময় ধৃত সুবীরেশ ভট্টাচার্য প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায় জানিয়েছিলেন, সুবীরেশ ভট্টাচার্য সহযোগিতা করছেন না শুনেছি। তাকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করুক সিবিআই। এই মামলায় মুখ না খুললে বা সহযোগিতা না করলে কড়া নির্দেশ দেব। এমনকী সেই সময় রাজীব কুমারের প্রসঙ্গ টানেন বিচারপতি।
তিনি সুবীরেশ ভট্টাচার্য প্রসঙ্গে বলেন, সিবিআইকে সহযোগিতা না করলে তাকে আবার হেফাজতে নিক। রাজীব কুমারকে তো অসমে নিয়ে গিয়ে জেরা করা হয়েছিল।
এরপর এতগুলো মাস কেটে গিয়েছে। ফের বিচারপতির তোপের মুখে পড়ল সিবিআই। চার্জশিটে নাম থাকা সত্ত্বেও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আলিপুর আদালতের বিচারক।