নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর যোগ নেই। এমনই দাবি করলেন ‘কালীঘাটের কাকু’ বলে খ্যাত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। বুধবার এক সংবাদামধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, চাকরি দেওয়ার ক্ষমতা থাকলে তো সবার আগে নিজের মেয়েকে দিতাম। পার্থর কাছে মেয়ের চাকরির জন্য বলেছিলাম বলেও দাবি করেন তিনি।
এদিন সুজয়বাবু বলেন, আমি কুন্তলকে চিনি। আমি দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক কর্মী ১৯৭৭ সাল থেকে আমি রাজনীতিতে সক্রিয়। ফলে দলের ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ থাকা কোনও অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়। তিনি বলেন, কুন্তল যে নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত তা জানতাম না। আমি বেহালার বাসিন্দা। আমাকে হঠাৎ কেন কালীঘাটের কাকু বানিয়ে দেওয়া হল তাও জানি না। তাঁর অনুমান, কালীঘাটে অনেকে আমাকে কাকু বলে ডাকেন, সেজন্যই হয়তো বলেছেন।
তিনি আরও বলেন, তাপস মণ্ডলকে চিনি না। উনিও আমাকে চেনেন না। আর উনি তেমনটা দাবিও করেননি। আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থার CEO. তাই রাজনৈতিক কারণে আমাকে নিশানা করা হয়ে থাকতে পারে।
তিনি বলেন, আমি বেহালার রাধারানি এলাকার বাসিন্দা। আমার মেয়ে SSC দিয়ে চাকরি পায়নি। দাদার মেয়েও পায়নি। চাকরি দেওয়ার ক্ষমতা থাকলে তো সবার আগে নিজের মেয়েকে দিতাম। আমি মেয়ের চাকরির জন্য পার্থকে বলেছিলাম। কারণ উনি আমাদের এলাকার বিধায়ক।
সুজয়বাবু জানিয়েছেন, এক বছর আগে কয়লাপাচারকাণ্ডে CBI আমাকে ডেকেছিল। ৯ ঘণ্টা জেরার মুখোমুখি হয়েছিলাম। তার পর কেউ আমাকে ডাকেনি। ডাকলে আবার যাব।
নিয়োগ দুর্নীতিতে কালীঘাটের কাকুর কথা প্রথম প্রকাশ্যে এনেছিলেন গোপাল দলপতি। তিনি বলেন, কুন্তল শুধু বলত, চিন্তা নেই, কালীঘাটের কাকু আছেন। কখনও বলত, কিছু টাকা দিন কালীঘাটের কাকুকে দিতে হবে। তবে কালীঘাটের কাকুর নাম বলেননি তিনি। মঙ্গলবার আদালতে পেশের সময় তাপস মণ্ডল বলেন, কুন্তল কালীঘাটের কাকুর নাম জানিয়েছেন। তিনি হলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।