এতদিন ছিল কালীঘাটের কাকুর কথা। গোপাল দলপতি ও তাপস মণ্ডল এই কালীঘাটের কাকুর কথা সামনে এনেছিলেন। এবার নিয়োগ দুর্নীতিতে নতুন নাম সামনে আনলেন তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষ। এদিন আদালত চত্বরে তিনি প্রিজন ভ্যানে ওঠার সময় জানিয়ে দেন, তদন্ত ঘোরানোর জন্য এসব বলে লাভ নেই। কোনও রহস্যময়ী নারী নয়, টাকা আছে হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে। তিনি হলেন গোপাল দলপতি ওরফে আরমান গাঙ্গুলির স্ত্রী। সব টাকা আছে গোপাল দলপতি ও তার স্ত্রীর কাছে। এটাই তদন্তে উঠে এসেছে। এটা আপনাদের বলে দিলাম। ওদের কাছেই সব রয়েছে। যা জানে হৈমন্তী গাঙ্গুলি। কখনও প্রিজন ভ্যানে ওঠার সময় কখনও আবার প্রিজন ভ্যানের ভেতর থেকে তিনি এদিন বার বার হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্য়ায়ের নাম উল্লেখ করেন।
বাস্তবিকই যেন মাকড়সার জালের মতো ছড়ানো গোটা চক্র। তৃণমূলের যুব নেতা থেকে পর্ষদ সভাপতি ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল। একের পর এক ব্য়ক্তিকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একদিকে তাপস মণ্ডল সংবাদমাধ্যমের সামনে কালীঘাটের কাকুর নাম ফাঁস করেছেন। সেই কাকু সুজয় ভদ্রকে ঘিরে গোটা বঙ্গবাসীর উৎসাহ একেবারে তুঙ্গে। তখনই তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষ এদিন আচমকাই নতুন এক মহিলার নাম সামনে আনলেন। তিনি হলেন হৈমন্তী গাঙ্গুলি। কে তিনি? তার পরিচয়টাও খোলসা করে দিয়েছেন কুন্তল নিজেই। কুন্তলের দাবি তিনি হলেন গোপাল দলপতির স্ত্রী। আবার গোপাল দলপতি হলেন তাপস মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ।
তবে সূত্রের খবর, হৈমন্তীর একটি কোম্পানি রয়েছে। তবে গোপাল ইতিমধ্যে দাবি করেছেন তার সঙ্গে বছর তিনেক ধরে হৈমন্তীর যোগাযোগ নেই।
তবে সূত্রের খবর, সম্প্রতি তাপস মণ্ডল ও কুন্তল ঘোষকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়েছিল। তখন রীতিমতো তাদের মধ্যে বচসা বেঁধে যায়। এদিকে দিন কয়েক ধরেই গোপাল দলপতির পাত্তা পাওয়া যাচ্ছে না। তার ফোনও সুইচড অফ রয়েছে। তার মধ্য়েই গোপালের স্ত্রীর নাম সামনে আনলেন কুন্তল।
অন্য়দিকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে সবার আগে তাপস মণ্ডলই কুন্তল ঘোষের নাম সামনে এনেছিলেন। এরপর গ্রেফতার করা হয় কুন্তলকে। অন্য়দিকে কুন্তল বার বারই দাবি করতে থাকেন তাপস মণ্ডল বাইরে থাকলে সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন। এরপর সেই তাপসকেও তুলে ফেলে তদন্তকারী সংস্থা। এবার কুন্তলের মুখে হৈমন্তীর নাম।
এবার কি হবে? তবে প্রশ্ন উঠছে এভাবে একের পর এক নামকে সামনে এনে আসল পাণ্ডাদের কি আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে? সবটাই কি কৌশল? এই প্রশ্নেরও উত্তর খুঁড়ছে বাংলা।