'আজকে তো তাঁকে অব্যাহতি দিলাম, আমাদের দল খুব কঠোর।' মন্ত্রিসভা থেকে 'পার্থদাকে অব্যাহতি' দেওয়ার পর এমনই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে তিনি জানালেন, আপাতত পার্থের তিনটি দফতরই তিনি সামলাবেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নবান্ন থেকে পার্থকে সরিয়ে দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, ‘পার্থদার কাছে যা যা দফতর ছিল, সেগুলো আমার কাছে আসছে। এখন হয়ত আমি কিছু করব না। কিন্তু নতুন মন্ত্রিসভা তো গঠন করা হয়নি।’
স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) দুর্নীতি মামলায় পার্থের গ্রেফতারির পর থেকে চূড়ান্ত অস্বস্তিতে পড়ে যায় রাজ্য সরকার এবং রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। বিশেষত দুর্নীতির অভিযোগটা শিক্ষা নিয়ে যাওয়ায় একেবারে আমজনতা, মধ্যবিত্তের জীবনে প্রভাব ফেলেছে। সেইসঙ্গে পার্থের ‘ঘনিষ্ঠ সহযোগী’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় আরও অস্বস্তি বেড়েছে তৃণমূলের। দায় ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করেও কোনও লাভ হয়নি। সেই পরিস্থিতিতে গ্রেফতারির ছয়দিন পর পার্থের উপর শাস্তির খাঁড়া নেমে এসেছে।
রাজ্য মন্ত্রিসভায় কি ‘সাফাই’ অভিযান চলবে?
সম্প্রতি একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, তৃণমূলের অন্দরের খবর, দুর্নীতিতে নাম জড়ানো নেতাদের মন্ত্রিসভা বাদ দেওয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরব হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্বিতীয় তৃণমূল সরকারের মন্ত্রিসভায় কাদের অন্তর্ভুক্ত করা উচিত নয়, তাও জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি বলে তৃণমূলের একাংশের দাবি।
আরও পড়ুন: SSC Scam Live: মমতার ‘অ্যাকশনে' গ্রিন সিগন্যাল, TMC থেকে বহিষ্কৃত হচ্ছেন পার্থ?
ওই অংশের দাবি, ২০১৬ সালে এবং পরবর্তীতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শ গ্রহণ না করার মাশুল সম্ভবত এখন গুনতে হচ্ছে। সেই পরিস্থিতিতে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের অনুগামী নেতারা মন্ত্রিসভায় ‘সাফাই’ অভিযানের দাবি তুলেছে ওই অংশ। তাঁদের বক্তব্য, পুরো মন্ত্রিসভা ভেঙে নতুন করে সাজান মমতা। তাতে দলের ভাবমূর্তি ভালো হবে। কারণ গত কয়েক বছরে মন্ত্রী থাকাকালীন একাধিক তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।