OMR শিটে নম্বর কারচুপির ভুরিভুরি উদাহরণ পাওয়া গিয়েছে, আদালতে রিপোর্ট পেশ করল CBI

সিবিআই জানিয়েছে, গাজিয়াবাদে নাইসা কমিউনিকেশনের আধিকারিক পঙ্কজ বনসলের বাড়িতে তল্লাশি চালায় তারা। সেখান থেকে উদ্ধার হয় ৩টি হার্ড ডিস্ক।

ফাইল ছবি

SSC নিয়োগ দুর্নীতিতে OMR শিটের নম্বর কারচুপির তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে পেশ করেছে সিবিআই। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে পেশ করা সেই রিপোর্টে বিস্ফোরক তথ্য দিয়েছেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। আদালতকে তাঁরা জানিয়েছেন, OMR শিট স্ক্যান করার দায়িত্বে থাকা সংস্থার দেওয়া নম্বর ইচ্ছামতো বদলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন।

আদালতে প্রতিবেদন পেশ করে সিবিআই জানিয়েছে, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম – দশম ও একাদশ – দ্বাদশে শিক্ষক নিয়োগের জন্য OMR শিট স্ক্যান করতে গাজিয়াবাদের নাইসা কমিউনিকেশন নামে এক সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়েছিল SSC. বিধাননগরে SSC-র দফতরেই যন্ত্র এনে সমস্ত OMR শিট স্ক্যান করে তারা। তার পর OMR শিটের স্ক্যান করা কপি ও প্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর হার্ড ডিস্কে ভরে SSC-র হাতে তুলে দিয়েছিল তারা। সিবিআই জানিয়েছে, তার পর সেই নম্বর ওয়েবসাইটে আপলোড করে SSC. কিন্তু হার্ড ডিস্কের নম্বর ইচ্ছামতো ফেরবদল করে আপলোড করেন SSC-র আধিকারিকরা।

সিবিআই জানিয়েছে, গাজিয়াবাদে নাইসা কমিউনিকেশনের আধিকারিক পঙ্কজ বনসলের বাড়িতে তল্লাশি চালায় তারা। সেখান থেকে উদ্ধার হয় ৩টি হার্ড ডিস্ক। সেই হার্ড ডিস্কের তথ্যের সঙ্গে SSC-র সার্ভারে থাকা তথ্য তুলনা করে দেখা গিয়েছে ওয়েবসাইটে নম্বর আপলোড করার সময় ব্যাপকহারে কারচুপি হয়েছে।

সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, কারচুপির যাবতীয় তথ্য ইতিমধ্যে SSC-র হাতে তুলে দিয়েছে তারা। পরবর্তী শুনানির দিন আদালতকে বিস্তারিত তথ্য জানাবে সিবিআই।

SSC দুর্নীতিতে ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে নম্বর কারচুপির বিষয়টি। SSCর প্রকাশিত ভুয়ো শিক্ষকের তালিকায় এমন প্রার্থীরও নাম রয়েছে যিনি OMR শিটে ঠিক করে রোল নম্বরটাও লিখতে পারেননি। পদ্ধতি মেনে সেই OMR শিট বাতিল হওয়ার কথা। কিন্তু OMR শিট বাতিল হওয়া তো দূরের কথা। বহাল তবিয়তে চাকরি করছেন রায়গঞ্জের বাসিন্দা সেই মহিলা।