এই প্রথম দুর্নীতি মামলায় জামিন চাইলেন না প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের আইনজীবী সেলিম রহমান। বান্ধবী অর্পিতার আইনজীবীও জামিনের আবেদন করেনননি। ব্যাপারটি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
এদিকে জামিন চাননি তাঁরা। কিন্তু কেন তদন্তে দেরি হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। তদন্ত কতদূর এগিয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে থাকেন তাঁরা। আর সেই প্রশ্নের জবাবে বিস্ফোরক দাবি করলেন ইডির আইনজীবী ভাস্করপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা ঘটনাকে কার্যত ডাকাতি করে চম্পট দেওয়ার সঙ্গে তুলনা করেন তিনি। তিনি সাফ জানিয়ে দেন , ডাকাতি করে কেউ যদি এদিক-ওদিক চলে যান তবে কি ২৪ ঘণ্টায় তদন্ত করা সম্ভব। কিন্তু কেন এই দাবি করছেন ইডির আইনজীবী?
নয়া অভিযোগ উঠছে পার্থর বিরুদ্ধে। বেসরকারি আইন কলেজের ছাত্রপত্র দেওয়ার জন্য়ও নাকি মোটা টাকার লেনদেন হত। আর তার কেন্দ্রে থাকতেন পার্থ। এদিকে পার্থ ও অর্পিতার বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৪,৬৩০টি নথি মিলেছে। তবে পার্থ-অর্পিতার আইনজীবীদের দাবি এই নথি অস্পষ্ট। বোঝা যাচ্ছে না ঠিকঠাক।
অন্যদিকে মানিক ভট্টাচার্যের কাজকর্ম সম্পর্কে অবহিত ছিলেন পার্থ। কিন্তু সব জেনেও তিনি নীরব থাকতেন বলে দাবি করা হচ্ছে। এদিকে পার্থ -অর্পিতার নামে এখনও পর্যন্ত ১০৩ কোটির সম্পত্তির হদিশ মিলেছে বলে সূত্রের খবর। পার্থ ও তাঁর সহযোগীর ৪৮.২২ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলেও তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল। অর্পিতার ফ্ল্য়াট থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছিল ৪৯.৮০ কোটি টাকা। সোনাদানা সব মিলিয়ে বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১০৩.১০ কোটি টাকা। এসবই কি ডাকাতির সমতুল্য? সেই উদাহরণই আনা হল আদালতে। আগামী ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত দুজনকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।