পশ্চিমবঙ্গে বিগত দিনে একাধিক দুর্নীতিকাণ্ড সামনে এসেছে। এর অনেকগুলির তদন্তেই নেমেছে ইডি। এরই মধ্যে অন্যতম হল এসএসসি দুর্নীতি মামলা। সেই কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত হলেন প্রসন্ন রায়। এই দুর্নীতিতে নাকি তিনি 'মিডলম্যান' ছিলেন। সেই প্রসন্নের থেকেই নাকি ১৬৩ কোটি ২০ লাখ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে একাধিক হোটেল, রিসর্ট। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত এসএসসি গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মোট ৫৪৪ কোটি ৮০ লাখ টাকার সম্পত্তি ও নগদ বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। (আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার বিস্তারিত শুনানি কি জানুয়ারিতেও হবে? উঠছে প্রশ্ন)
আরও পড়ুন: এবার বাংলাতেও ডিএ বৃদ্ধির তোড়জোড়, কত বাড়তে পারে মহার্ঘ ভাতা?
আরও পড়ুন: আরজি করের আরও ২ চিকিৎসকের নামে গুরুতর অভিযোগ CBI-এর, 'জানি না' বলেও তদন্তে সরকার
এর আগে কয়েক মাস আগে দাবি করা হয়েছিল, ৬ বছরে চাকরি বিক্রি করে প্রসন্ন রায়ের অ্যাকাউন্টে ৭২ কোটি টা ঢুকেছিল। ইডি সেই সময় দাবি করেছিল, এক জন চাকরিপ্রার্থী জোগাড় করে দেওয়ার জন্য মিডলম্যান হিসাবে প্রসন্ন রায় পেতেন দেড় লক্ষ টাকা। উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে একেবারে প্রথমে যারা গ্রেফতার হয়েছিলেন তাদের অন্যতম প্রসন্ন রায়। বিধাননগরে একটি গাড়ি ভাড়া দেওয়ার সংস্থার আড়ালে তিনি চাকরি বিক্রির চক্র চালাতেন বলে দাবি করে ইডি। টাকার বিনিময়ে প্রসন্ন রায়ের কর্মচারীদের তৈরি করা তালিকা সরাসরি পৌঁছে যেত এসএসসি উপদেষ্টা কমিটির আহ্বায়ক শান্তিপ্রসাদ সিংহের কাছে। অভিযোগ, প্রসন্নের পাঠানো সেই তালিকা মিলিয়ে অযোগ্যদের সুপারিশপত্র দিতেন শান্তিপ্রসাদ সিংহ। (আরও পড়ুন: চলেছে ছাঁটাই, এরই মাঝে ৬৩% বেতন বৃদ্ধি মাইক্রোসফট প্রধান সত্য নাদেলার!)
আরও পড়ুন: ডিএ নিয়ে ফের বাড়ছে চাপ, মমতার বিরুদ্ধে অঙ্ক কষে আন্দোলনে সরকারি কর্মীরা
আরও পড়ুন: এক মাসেই ৬ হাজার পয়েন্ট পতন সেনসেক্সে, BSE সূচক কেন নেমেছে ৮০০০০-এর নীচে?
অবশ্য প্রথম থেকেই ইডির অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন প্রসন্ন। এই নিয়ে আদালতে তাঁর আইনজীবী দাবি করেছিলেন, প্রসন্ন রায় একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তাঁর একাধিক ব্যবসা রয়েছে। অবশ্য তদন্তে নেমে প্রসন্নের বিভিন্ন সংস্থায় ২৬ কোটি এক লক্ষ ৮৯ হাজার ৬৭২ টাকার খোঁজ পায় ইডি। সেই সময় প্রসন্ন দাবি করেছিলেন, এই টাকা কৃষিকাজ করে তিনি আয় করেছেন। আখ, পেঁপে, কলা, ক্যাপসিকাম, টম্যাটো, সর্ষে, নারকেল চাষ করে নাকি এত কোটি কোটি টাকা আয় করেছিলেন প্রসন্ন। (আরও পড়ুন: টাটার উইলে নাম আছে 'বন্ধু' শান্তনুরও, তাঁকে কী দিয়ে গেলেন রতন?)
আরও পড়ুন: নিজের দলই চাইছে ট্রুডোর পদত্যাগ! তলানিতে কানাডার PM-এর জনসমর্থন, দাবি সমীক্ষায়
আরও পড়ুন: 'ওখানেই একটা খলিস্তান করে দিক...', তোপ কানাডা থেকে ফিরে আসা ভারতীয় হাইকমিশনারের
পরে প্রসন্ন, তাঁর স্ত্রী এবং ঘনিষ্ঠদের মোট ২৫০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিস পাওয়া যায়। চার্জশিটে ইডির দাবি, অ্যাকাউন্টগুলিতে ৭২ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। ইডি আরও জানায়, প্রসন্নের স্ত্রীর আয়ের অন্য কোনও উৎস নেই। তাঁর অ্যাকাউন্টেও দু’কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে। এছাড়া ইডির দাবি, প্রসন্নের জমিতে কোনও চাষবাস হয়নি। এই আবহে এই মামলার তদন্তে প্রসন্ন এবং তাঁর স্ত্রীর নামে থাকা মোট ১৬৩ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানাল ইডি।