শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে লক্ষ লক্ষ টাকায় যে চাকরি বিক্রি হয়েছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে। কিন্তু কী ভাবে এই বিপুল টাকা পৌঁছে দেওয়া হত এই চক্রের পান্ডাদের কাছে, তা নিয়ে ছিল কিছু ধোঁয়াশা। বৃহস্পতিবার আদালতে সেই বিষয়টিও স্পষ্ট হল। এই মামলায় সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিক জানিয়েছেন, জেরায় অযোগ্য প্রার্থীরা বলেছেন, টাকা মিটিয়েছেন নগদে।
এদিন হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায় SSC-র উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন আহ্বায়ক শান্তিপ্রসাদ সিনহা ও ২ দালাল প্রদীপ সিং ও প্রসন্নকুমার রায়কে আদালতে পেশ করে পুলিশ। তখনই সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকের কাছ থেকে বেশ কিছু বিষয় জানতে চান বিচারক। বিচারক প্রশ্ন করেন, চাকরির জন্য যারা টাকা দিয়েছিলেন তাদের কারও সঙ্গে কি যোগাযোগ করেছে সিবিআই?
কথা দিয়েও রাখেনি পুরসভা, টালা ব্রিজ উদ্বোধনের আগে পুনর্বাসনের দাবিতে বিক্ষোভ
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তিনি বিচারককে জানান, বিধাননগরে প্রশান্তকুমার রায়ের অফিসে হানা দিয়ে অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা পেয়েছে সিবিআই। সেই তালিকায় ছিল ফোন নম্বরও। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ইতিমধ্যে বয়ান রেকর্ড করেছে সিবিআই। জেরায় সেই প্রার্থীরা জানিয়েছে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন প্রসন্ন ও প্রদীপ। পোস্টে নয়, হাতে হাতে দেওয়া হয়েছিল নিয়োগপত্র। বিনিময়ে হাতে হাতে নগদে নেওয়া হয়েছিল টাকা। ওদিকে প্রসন্ন জানিয়েছে, অযোগ্য প্রার্থীদের সঙ্গে ডিল পাকা হলে তালিকা যেত শান্তিপ্রসাদের কাছে। শান্তিপ্রসাদ সেই তালিকা তুলে দিতেন কল্যাণময়ের হাতে। এর পর অযোগ্য প্রার্থীদের জন্য সুপারিশপত্র বানাতেন কল্যাণময়। সেই সুপারিশপত্র তুলে দিতেন শান্তিপ্রসাদের হাতে।
SSC নিয়োগ দুর্নীতিতে ১০ – ২০ লক্ষ টাকায় এক একটি চাকরি বিক্রি হয়েছে বলে অভিযোগ। তার বিস্তারিত চার্জশিটে রয়েছে বলে আদালতকে জানিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিক।