হাইকোর্টের ধমক খেয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে হেফাজতে নিতে চেয়ে আবেদন করল সিবিআই। গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুবীরেশকে জেরা করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। এদিন আদালতে প্রায় ২০ মিনিট শুনানির পর রায়দান আপাতত স্থগিত রেখেছেন বিচারক।
গত ১২ ডিসেম্বর সুবীরেশকে আদালতে পেশের দিন ছিল। সেদিন তাকে হেফাজতে নিতে চেয়ে আবেদন করেছিল সিবিআই। জানিয়েছিল গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি দুর্নীতিতে সুবীরেশকে হেফাজতে প্রয়োজন। ফলে কয়েক দিনের মধ্যে সুবীরেশকে ফের আদালতে পেশের আবেদন জানায় তারা। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে সুবীরেশকে ২২ ডিসেম্বর ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দেন আলিপুর আদালতের বিচারক।
একথা জানতে পেরে বৃহস্পতিবার এজলাসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি প্রশ্ন করেন, একজন অভিযুক্তকে হেফাজতে নিতে ১০ দিন লাগবে কেন? কেন ১০ দিন পর সুবীরেশকে পেশের নির্দেশ দেওয়া হল তা জানতে চেয়ে আলিপুর আদালতের বিচারকের কাছে রিপোর্ট তলব করেন তিনি। একই সঙ্গে ভর্ৎসনা করেন সিবিআইকে।
হাইকোর্টের ধমক খেয়ে শুক্রবার ফের আলিপুর আদালতে সুবীরেশকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় সিবিআই। এবার আর শুনানিতে দেরি করেনি আলিপুর আদালত। শুক্রবার মামলার শুনানিতে সিবিআইয়ের আইনজীবী দাবি করেন সুবীরেশ গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি দুর্নীতিতেও যুক্ত। ফলে তাকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা প্রয়োজন। পালটা বিচারক জানতে চান, তাকে কি জেলে গিয়ে জেরা করেছেন তদন্তকারীরা। জবাবে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, কয়েকজনের সামনে বসিয়ে সুবীরেশকে জেরা করা প্রয়োজন। যা জেলে গিয়ে করা সম্ভব নয়। এদিন আদালতে প্রায় ২০ মিনিট শুনানি হয়। এর পর রায়দান স্থগিত রাখেন বিচারক।