SSC নিয়োগ দুর্নীতে নম্বর কারচুপির মূল পান্ডা সুবীরেশ ভট্টাচার্য। সোমবার সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ শেষে আদালতে পেশ করে এমনই দাবি করলেন তদন্তকারী আধিকারিক। এদিন সুবীরেশকে আদালতে পেশ করতে কিছুটা দেরি হওয়ায় বিচারকের তিরস্কারের মুখে পড়তে হয় তদন্তকারী আধিকারিককে। সুবীরেশকে ফের নিজেদের হেফাজতে চেয়েছে সিবিআই।
৭ দিনের সিবিআই হেফাজত শেষে সোমবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে আদালতে পেশ করেন তদন্তকারীরা। এদিন সুবীরেশকে আদালতে পেশ করতে কিছুটা দেরি হয়। যার জেরে তদন্তকারী আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ জানান বিচারক। প্রশ্ন করেন, এত দেরি হল কেন? নিজাম প্যালেস থেকে আলিপুর আদালতে হেঁটে আসতেও তো এর থেকে কম সময় লাগে। দেরির জন্য আদালতের কাছে ক্ষমা চান সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিক।
এর পর তিনি আদালতকে জানান, SSC নবম -দশম নিয়োগ দুর্নীতিতে নম্বর কারচুপির প্রধান কুশীলব ছিলেন এই সুবীরেশ ভট্টাচার্য। প্যানেল তৈরির আগেই অযোগ্য প্রার্থীদের OMR শিটে কারচুপি করে নম্বর বাড়িয়ে দিতেন তিনি। প্যানেলের মেয়াদ শেষের পর যে ৩৮১ জনকে নিয়োগের কথা বাগ কমিটির রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে তার পিছনেও হাত রয়েছে সুবীরেশের। সিবিআইয়ের তরফে এদিন আদালতকে জানানো হয়, সুবীরেশের কাছে আরও তথ্য পাওয়া যেতে পারে। তাই তাঁকে ফের হেফাজতে পেতে চায় সিবিআই। সওয়াল জবাবের পর রায় সুরক্ষিত রেখেছেন বিচারক।