নবম – দশম নিয়োগ দুর্নীতিতে বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়া ৯৫২ জনের তালিকা প্রকাশের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে দায়ের মামলার শুনানি শেষ হল। এদিন অভিযুক্তদের পক্ষে আবেদন করা হয়, গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হওয়া OMR শিট কি আদৌ গ্রহণযোগ্য। যদিতে তাদের এই প্রশ্ন খারিজ করে দিয়েছে খোদ SSC.
এদিন চাকরিপ্রার্থীদের তরফে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে প্রশ্ন তোলা হয়, গাজিয়াবাদে উদ্ধার হওয়া OMR শিট কি আদৌ গ্রহণযোগ্য? তাছাড়া মামলায় যুক্ত হওয়ার আবেদন খারিজ হলে আমরা যাব কোথায়? জবাবে SSC জানায়, সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে OMR শিট পরীক্ষা হয়েছে। OMR শিট স্ক্যান করে যে নম্বর পাওয়া গিয়েছে তাই সংস্থা আমাদের কাছে পাঠিয়েছে। এখানে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
এর পর বিচারপতি তালুকদার চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে প্রশ্ন করেন, কমিশনের ভুলের জন্য কি আদৌ অবৈধভাবে নিযুক্তদের দায়ী করা উচিত। জবাবে বিকাশবাবু বলেন, এটা কোনও ভুল নয়। এটা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্রে সবাই যুক্ত।
রাজ্যের তরফে সওয়াল করে বলা হয়, অবৈধভাবে নিযুক্তদের বলতে দিলে এখনই দেওয়া উচিত। চাকরি চলে যাওয়ার পরে তারা বলে কী করবে?
বলে রাখি, গত সপ্তাহে নবম – দশম নিয়োগ দুর্নীতিতে ৯৫২ জন অবৈধভাবে নিযুক্ত প্রার্থীর নামের তালিকা প্রকাশ করতে SSC-কে নির্দেশ দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন OMR শিট কারচুপিতে অভিযুক্তরা।
এদিন ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শেষ হলেও রায়দান স্থগিত রেখেছেন বিচারপতিরা।