গত ১৮ মে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল যে ১০৯৮ জন প্রার্থী ইন্টারভিউয়ে ডাক পায়নি তাদের নথি আপলোডের সুযোগ দিতে হবে। সাধারণত এই সমস্ত নথি আপলোড সংক্রান্ত কাজ নিয়ন্ত্রণ হয়ে থাকে এসএসসি ভবনের ডেটা রুম থেকে। তবে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরেই সিবিআই ডেটা রুম সিল করে দিয়েছে। এই অবস্থায় ডেটা রুম খোলার জন্য ন্যাশনাল ইনফরমেটিকস সেন্টারকে (এনআইসি) চিঠি দিল এসএসসি।
ডেটা রুম খুলে গেলে ওই প্রার্থীরা নথি আপলোড করতে পারবেন। এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী এনআইসি এবং সিবিআইয়ের উপস্থিতিতে ডেটা রুম খুলে কাজ করতে হবে। সেইমতো এনআইসি’কে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করা হয়েছে। সিবিআইও প্রস্তুত রয়েছে। সিদ্ধার্থবাবু জানান, ডেটা রুম খুলে গেলে উচ্চ প্রাথমিকের প্রার্থীদের জন্য নথি আপলোড করার জন্য লিঙ্ক দেওয়া যাবে। সেই লিঙ্কের সাহায্যে প্রার্থীরা নথি আপলোড করতে পারবেন। একইসঙ্গে কয়েকদিনের মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে। সেই কারণে ডেটা রুম খোলাটা খুবই প্রয়োজনীয়।
চাকরি প্রার্থীদের বক্তব্য, প্রাথমিকের টেট, নবম দশম প্রভৃতি ক্ষেত্রে চাকরিতে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তবে উচ্চ প্রাথমিক প্রার্থীরাই সবথেকে বেশি বঞ্চিত। আট বছর ধরে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়নি। পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের সহ-সভাপতি সুশান্ত ঘোষ বলেন, ১০৯৮ জন প্রার্থী নানা কারণে ইন্টারভিউয়ের নথি আপলোড করতে পারেনি বলে অভিযোগ করেছিলেন। তার ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্ট এসএসসিকে নির্দেশ দিয়েছে ওই প্রার্থীরা যাতে নথি আপলোড করতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। এর ফলে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ার গতি বাড়বে বলেই আশা চাকরি প্রার্থীদের।