একদিকে জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন আন্দোলন চলছে। অপরদিকে আজ, রবিবার এসএসকেএম হাসপাতালে দুষ্কৃতীরা ঢুকে তাণ্ডব চালাল বলে অভিযোগ উঠল। প্রত্যেক সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা–সহ একাধিক দাবি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন ডাক্তাররা। আর সেই আবহের মধ্যেই হকি স্টিক, উইকেট নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ঢুকে তুমুল মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। আর তার জেরে রোগীর আত্মীয়রা আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে। শুধু তাই নয়, এই হামলার ঘটনায় হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে আবার প্রশ্ন উঠে গেল। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ।
এদিকে এই ঘটনার পর রোগীরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তাঁদের কাঁদো কাঁদো অবস্থা দেখা দিয়েছে। কারণ রবিবার সকাল ৮টার পরে হামলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসএসকেএম হাসপাতালে আজ মোটরবাইক নিয়ে ঢুকে পড়ে কয়েকজন দুষ্কৃতী বলে খবর। তাদের হাতে ছিল হকি স্টিক, উইকেট এবং লাঠি জাতীয় কিছু বস্তু। ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ঢুকে তাণ্ডব চালাতে থাকে তারা। চিকিৎসাধীন এক রোগীর আত্মীয়কে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কয়েকজন জুনিয়র ডাক্তারের অভিযোগ, হামলা যেখানে হয়েছে সেখানে পুলিশ ছিল। কিন্তু তারা সবটা দেখেও না দেখার ভান করেছিল।
আরও পড়ুন: এবার ‘গণইস্তফা’ দিলেন কল্যাণী জেএনএমের ৭৭ ডাক্তার, রাজ্য সরকারের অবস্থান স্পষ্ট
অন্যদিকে এই হামলার ঘটনায় এক যুবকের মাথা ফেটে যায়। আর তখনই পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠে। আজ সকালে এখানে ১০–১৫ জনের একটি দুষ্কৃতী দল ঢুকে পড়ে। তারপর তারা তাণ্ডব চালায়। হাসপাতালের অনেকেই এদের চিনতে পারেননি। কেন তারা এমন হামলা চালাল? সেটা পরিষ্কার নয় এসএসকেএম হাসপাতালের কর্মীরা। এই দুষ্কৃতীদের হাতে ছিল উইকেট এবং হকি স্টিক। তাঁরা ট্রমা কেয়ার সেন্টারের দিকে ঢুকে ব্যাপক মারধর করতে শুরু করে। এই ট্রমা কেয়ার সেন্টারের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন এক রোগীর ছেলে সৌরভ মোদক। তাঁকেই বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মাথা ফাটে তাঁর।
এসএসকেএম হাসপাতালের এক কর্মী বলছেন, হঠাৎ করে এমন তাণ্ডব দেখে হকচকিয়ে যাই। তবে কাউকে চিনতে পারিনি। মনে হচ্ছে এই হাসপাতালের দুই গোষ্ঠীর ক্ষমতা প্রদর্শনের লড়াইয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত করছে। প্রকৃত অপরাধীরা ধরা পড়বে। পাল্টা এসএসকেএমের এক জুনিয়র ডাক্তারের কথায়, ‘এই তো আমাদের হাসপাতালে নিরাপত্তার বহর। একদল সরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ঢুকে মারধর করে বেরিয়ে গেল। কারও কিছু করার থাকল না। পুলিশ নীরব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে দেখল।’