সমকাজ সম বেতনের দাবিতে উত্তাল এসএসকেএম হাসপাতাল। ন্যায্য পাওনা না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যেতে অনড় নার্সরা। এমনকী, দাবি-দাওয়া পূরণ না হলে, ‘গণ-ছুটির’ হুঁশিয়ারিও দিয়েছে হাসপাতালের নার্সেস ইউনিট নামের সংগঠন।
সাতদিন ধরে এই আন্দোলন চলায় রাজ্যের সবচেয়ে বড় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা কার্যত স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। তার উপর করোনা বিধি উপেক্ষা করে যেভাবে আন্দোলনে নেমেছেন রাজ্যের প্রথমসারির এই হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা, তা নিয়ে বিতর্কের দানা বেঁধেছে।
সোমবার করোনা বিধি উড়িয়ে কয়েকশো চিকিৎসকরা জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখান হাসপাতাল চত্বরে। দীর্ঘদিন ধরেই বেতন পরিকাঠামো নিয়ে চূড়ান্ত অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে নার্সদের মধ্যে। তাঁদের দাবি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে দু’বছর আগেও সমস্যার সমাধানে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধান করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। নার্সদের আরও দাবি, করোনাকালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যেভাবে তাঁরা মানুষের সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন, সেই তুলনায় উপযুক্ত বেতন পাচ্ছেন না তাঁরা। এসএসকেএম হাসপাতালে নার্সদের এই আন্দোলন ধীরে ধীরে বৃহত্তর আকার ধারণ করছে।
জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যভবনের তরফ থেকে আন্দোলনরত নার্সদের সংগঠনের প্রতিনিধিদের স্বাস্থ্যভবনের ডেকে পাঠানো হয়। কিন্তু সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এই বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি। একপ্রস্থ আলোচনার চললেও এই বৈঠকের মধ্যে দিয়ে কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি।
নার্সেস ইউনিটের সম্পাদক ভাস্বতী মুখোপাধ্যায় জানান, 'আজকের এই বৈঠকের পর থেকে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবেন তাঁরা। তিনি আরও জানিয়েছেন, একপ্রকার সরকারই এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করল, যেটা কাম্য ছিল না।' তিনি স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের দাবি-দাওয়া না মিটলে, নিজেদের অবস্থান থেকে এক চুলও নড়বেন না নার্সরা। উপরন্তু প্রয়োজন হলে, গণ ছুটির পথেও হাঁটতে পারেন বিক্ষোভরত নার্সরা। তবে প্রশাসন থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা যেখানে ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন, সেখানে এই ধরনের জমায়েত অনভিপ্রেত বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।