সামাজিক প্রতিকূলতার জেরে বন্ধ হতে বসেছে ঠাকুরপুকুরের সরোজ গুপ্ত ক্যানসার সেন্টার অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট-এর বেশিরভাগ পরিষেবা। অভিযোগ সম্প্রতি হাসপাতালের এক রোগী করোনা আক্রান্ত ধরা পড়ার পরে কর্মীদের কাজে যোগ দিতে দিচ্ছেন না প্রতিবেশী আর স্থানীয় বাসিন্দারা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, গত ১৭ এপ্রিল ফুসফুসে ক্যানসার নিয়ে ভরতি হয়েছিলেন এক রোগী। এর পর তাঁর দেহে করোনা সংক্রমণের প্রমাণ মিললে ওই রোগীকে বাঙুর হাসপাতালে রেফার করা হয়।
প্রতিষ্ঠাতা ক্যানসার বিশেষজ্ঞ সরোজ গুপ্তর নাতি বর্তমানে হাসপাতালের ডিরেক্টর চিকিৎসক অর্ণব গুপ্ত জানিয়েছেন, 'ওই রোগী হাসপাতাল ছাড়ার পরেই স্থানীয় বাসিন্দা ও আমাদের অধিকাংশ কর্মীর প্রতিবেশীরা তাঁদের কাজে যোগ দিতে বাধা দেন। পাশাপাশি তাঁদের দোকান-বাজারে যাওয়া ও রাস্তার কল থেকে জল তুলতে গেলেও বাধা দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের লাগাতার প্রচার সত্ত্বেও এমন ঘটনা অত্যন্ত হতাশাজনক। কিছু কিছু কর্মীর আত্মীয়দের হুমকিও দেওয়া হয়েছে।'
বিষয়টি জানিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর ও পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার পরে বুধবার সকাল থেকে পরিস্থিতি কিছুটা আয়ত্তে এসেছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ৩১০ শয্যা বিশিষ্ট সরোজ গুপ্ত ক্যানসার সেন্টার অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে ৮৫০ জন কর্মী রয়েছেন। প্যানেলে রয়েছেন ১৮০ জন চিকিৎসক।
বর্তমান পরিস্থিতির জেরে হাসপাতালে বেশ কিছু পরিষেবা আপাতত বন্ধ রাখতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক অর্ণব গুপ্ত। বন্ধ রাখা হয়েছে কেমোথেরাপি ও অস্ত্রোপচার বিভাগ। হাসপাতালে বর্তমানে রখা হয়েছে ৫৫ জন রোগী, যাঁদেোর মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা সংকটজনক এবং বাকিরা শিশু। অন্যান্য রোগীদের বাধ্য হয়ে বাড়ি পিরে যেতে বলা হয়েছে।
তিনি জানিয়োছেন, গত ১৯ এপ্রিল কাজে যোগ দিতে পেরেছেন মাত্র ১৫ জন কর্মী। তাঁদের দিয়েই হাসপাতালের কাজ কোনও রকমে সামলানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।