গতবারের আড়ম্বরের ছায়ামাত্র নেই এবার বিজেপির দুর্গাপুজোয়। বিধাননগরের পূর্বাঞ্চলীয় সংস্কৃতি কেন্দ্রে আয়োজিত এই পুজোয় এদিন দেখা মিলল না দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। ভার্চুয়ালি পুজোর উদ্বোধন করার কথা ছিল দলের সভাপতি জেপি নড্ডার। শেষ পর্যন্ত তাও হয়নি। ষষ্ঠীতে পুজোর উদ্বোধন করেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, রাহুল সিনহা, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়রা। উল্লেখযোগ্যভাবে এদিন বিজেপির মণ্ডপসজ্জায় দেখা যায় এক জোড়া ‘খড়ম’।
এবার বিজেপির পুজোর আয়োজন গতবারের ছায়ামাত্র নয়। গত বছর ভার্চুয়ালি এই পুজোর উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার প্রথম থেকেই পুজো করা নিয়ে দুভাগে বিভক্ত ছিল দল। দিলীপ ঘোষ ছিলেন পুজো করার বিপক্ষে। তিনি তো প্রকাশ্যেই বলে দেন, পুজো করা দলের কাজ না কি? এর পর হতোদ্যম হয়ে পুজোপন্থীরা যান সুকান্ত মজুমদারের কাছে। তিনি অনুমতি দেন পুজো করার। এরই মধ্যে পুজো আয়োজনের অন্যতম দায়িত্বপ্রাপ্ত সব্যসাচী দত্ত তৃণমূলে যোগ দেন।
সোমবার সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালিয়ে পুজোর উদ্বোধন করেন সুকান্তবাবু ও অন্যান্যরা। এবার বিজেপির পুজোর থিম চৈতন্যদেব। মণ্ডপের বিভিন্ন জায়গায় লাগানো হয়েথে তাঁর কাট আউট। এছাড়া মঞ্চের নীচে রাখা হয়েছে এক জোড়া প্রতীকি খড়ম।
এই নিয়ে সুকান্তবাবু বলেন, ‘চতন্যদেবের দেখানো পথে বাংলার সংস্কৃতিকে বাঁচাতে হবে। কাজি নাম সংকীর্তনের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোয় মহাপ্রভূর নেতৃত্বে প্রথম সত্যাগ্রহ হয়েছিল। এখনো কাজিরা অন্য রূপে রয়েছে। অন্য নামে তারা বাধা দিচ্ছে।’
শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘সনাতনী সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখতে উৎসবগুলি উজ্জাপন খুব দরকারি। বিভিন্ন ভাবে সনাতন ধর্মের ওপর আঘাত আসছে। আমরা একে রুখব।’