অর্জুনের দলত্যাগের পরের সকালে সেই ‘ঠান্ডা ঘরে’ই জরুরি বৈঠকে বসলেন রাজ্য বিজেপির শীর্ষনেতারা। সোমবার সকালে কলকাতা লাগোয়া নিউ টাউনের একটি পাঁচতারা হোটেলে বৈঠকে বসেন তাঁরা। অর্জুন দল ছাড়ার পর বারাকপুর তথা লাগোয়া এলাকায় সংগঠন কী করে গোছানো হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিনের বৈঠকে হাজির রয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ভার্চুয়ালি হাজির রয়েছেন দিলীপ ঘোষ। এছাড়া হাজির রয়েছেন বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার একাধিক নেতা। রয়েছেন দলের সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য।
রবিবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। এর পর সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, বিজেপি নেতারা ঠান্ডা ঘরে বসে রাজনীতি করেন। এভাবে মানুষের পাশে থাকা যায় না। পরদিন সকালে দেখা গেল দলীয় দফতর ছেড়ে সেই পাঁচতারা হোটেলেই বৈঠকে বসলেন বিজেপি নেতারা। এর আগে রাজ্য বিজেপির বৈঠক পাঁচতারা হোটেলে হয়েছে বলে মনে করতে পারছেন না অনেকেই।
সূত্রের খবর, অর্জুন দল ছাড়ার পর বারাকপুরে সংগঠন কী ভাবে গোছানো হবে তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা চলছে। কার ওপর কী দায়িত্ব ন্যস্ত থাকবে তা বুঝিয়ে দিচ্ছেন দলের রাজ্য নেতারা। এমনকী কী ভাবে তৃণমূল ও অর্জুনের মোকাবিলা করা হবে আলোচনা চলছে তা নিয়েও।
বিজেপি নেতাদের মতে, অর্জুনের তৃণমূলে যোগদানের পর সেখানে দলের কর্মীদের ওপর আক্রমণ আরও বাড়বে। ফলে তাদের নিরাপত্তার দিকটিও ভাবাচ্ছে অনেককে।
গত লোকসভা নির্বাচনে বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে গেরুয়া ঝড় ওঠে। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে স্বমহিমায় ফেরে তৃণমূল। ৭টির মধ্যে ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে জয় পায় তারা। বিজেপি নেতাদের মতে, লোকসভা নির্বাচনে বারাকপুরে জয়ের পিছনে অর্জুনের তেমন কোনও ভূমিকা নেই। কারণ ভোটের মুখে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তাই লোকসভায় বারাকপুরের মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন তাদের কর্মসূচিকে সমর্থন করেই। সেক্ষেত্রে আগামী লোকসভাতেও এলাকায় পদ্ম ফোটার সম্ভাবনা প্রবল। অর্জুন দল ছাড়ায় এলাকায় দলের কর্মীরা যাতে মনোবল না হারান আলোচনা হচ্ছে তা নিয়েও।