রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থন করুক। এটা এখন চাইছে বঙ্গ–বিজেপি। কারণ তিনি এগিয়ে থাকলেও জিতে গিয়েছেন এমন ঘটনা এখনও ঘটেনি। বিজেপির বেশ কিছু ভোট তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীর কাছে গিয়ে পড়তে পারে এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থন আশা করছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজে ফোন করে তাঁকে সমর্থন করার ব্যাপারে আবেদন জানিয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু। আর রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকেও দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করার আবেদন জানিয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর যৌথ স্বাক্ষর করা চিঠি গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।
আর ঠিক কী ঘটেছে? মঙ্গলবার বাইপাসের এক অভিজাত হোটেলে বঙ্গ–বিজেপির বিধায়ক–সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন এনডিএ’র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী। সেখানে নিজের ভাষণ শেষে তিনি ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন। যা শুনে কার্যত ঘাবড়ে যান অধিকাংশ গেরুয়া জনপ্রতিনিধি। কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তাঁর নেতা–কর্মীদের মুখে এই ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি শোনা যায়। এদিন অবশ্য রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর মুখে তা শুনে চমকে যান সবাই। এটা তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থন লাভের জন্যই বলে মনে করা হচ্ছে।
ঠিক কী বলছেন দ্রৌপদী মুর্মু? তৃণমূল কংগ্রেসের নাম মুখে না নিলেও তাঁদের সমর্থন চেয়েছেন তিনি। তাই তিনি বলেন, ‘আমি জানি বাংলার হৃদয় অনেক বড়। তাই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সব সদস্যদেরই ভোট আমি পাব। আমার বিশ্বাস, যাঁরা এই রাজ্যে এনডিএ বিরোধী, তাঁরাও আমায় সমর্থন করবেন।’ আর তিনি নিজে জয় বাংলা স্লোগান দেওয়ায় রাজ্য বিজেপির অন্যতম সহ–সভাপতি তথা সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘দ্রৌপদীদেবীর স্লোগান যদি তৃণমূলের সঙ্গে মিলেই যায়, তবে ওঁদের জনপ্রতিনিধিদের উচিত রাষ্ট্রপতি ভোটে দ্রৌপদীদেবীকে জয় যুক্ত করা।’
আর কী ঘটেছে সমর্থন পেতে? বিধানসভায় বিজেপির মুখ্যসচেতক মনোজ টিগ্গাও আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কদের রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোট দেওয়ার আবেদন প্রকাশ্যে জানিয়েছেন। যদিও মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সৌজন্যে আদিবাসী মহিলারা মাসে হাজার টাকা করে পাচ্ছেন। কিন্তু মোদীবাবুর সৌজন্যে তাঁদের হেঁসেলে আঁধার নেমে এসেছে!