লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা কি বাড়বে? কৃষিতে বরাদ্দ কত হবে? নতুন কোনও প্রকল্প কি আসবে? ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশেষ কোনও ঘোষণা থাকবে? এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে চান বাংলার নাগরিকরা। রাত পোহালেই শুরু হবে বাজেট অধিবেশন। তাই সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন সকলে। ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন। আগামীকাল বুধবার বাজেট পেশ করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। তাই এবারের রাজ্য বাজেটে কোন কোন খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করে রাজ্য সরকার তা জানতে কৌতূহল তুঙ্গে।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্য সাথী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী থেকে শুরু করে নানা প্রকল্প রয়েছে এই রাজ্যে। কৃষকদের জন্যও প্রকল্প রয়েছে। কর্মশ্রী, বাংলার বাড়ি নিয়ে কোনও বিশেষ ঘোষণা করা হয় কিনা সেদিকে তাকিয়ে গ্রামীণ মানুষজন। এখন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সাধারণ মহিলারা পান এক হাজার টাকা। আর তফশিলি জাতি–উপজাতির মহিলারা পান ১২০০ টাকা। এই বিষয়ে এবারের রাজ্য বাজেটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ৫০০ টাকা করে বাড়ানো হতে পারে বলে আগাম ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর তারই পাল্টা এবার রাজ্য সরকারের বাজেটের অভিমুখ নিয়ে ব্যাখ্যা করলেন বিধানসভার পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: ক্যানিংয়ে নিখোঁজ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী, অপহরণ নাকি অন্য কিছু? তদন্ত করছে পুলিশ
আসলে সর্বস্তরের মানুষের জন্য প্রকল্প রয়েছে বাংলায়। সেগুলিতেই বরাদ্দ বৃদ্ধি নিয়ে নানা গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। এই বিষয়ে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে উঠে এসেছেন। তাই তিনি সবসময় নিজেকে মাটির কাছাকাছি রাখার চেষ্টা করেন। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমাদের সরকারের প্রথম লক্ষ্য ছিল, সমাজের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া মানুষজনকে আর্থিক দিক থেকে স্বাবলম্বী করে তোলা। আসলে আর্থিকভাবে যাঁরা সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছেন তাঁদের উন্নতি না করতে পারলে সমাজের সার্বিক উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব নয়। শুধু সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশই নয়, ছাত্র, যুব, কর্মচারী, শ্রমিক, মহিলা–সহ সমাজের সর্বস্তরকেই উপকৃত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই এবারের বাজেটের অভিমুখও সেদিকেই থাকবে।’
সরকারি কর্মচারীরা তাকিয়ে আছেন ডিএ বা মহার্ঘভাতা বাড়ে কিনা সেদিকে। বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের পরিচিত স্লোগান হল, ‘এগিয়ে বাংলা’। শোভনদেবের বক্তব্য, ‘এই এগিয়ে বাংলা শুধু স্লোগান নয়, এটা আমাদের সরকারের উন্নয়নের প্রধান মন্ত্রও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমরা প্রত্যেক মুহূর্তে বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। ২০১১ সালের আগে কৃষিতে যা ছিল, আমরা তার থেকে অনেক এগিয়েছি। এখন সারা দেশের নিরিখে বাংলায় কৃষকদের আয় সবচেয়ে বেশি।’ এবারের রাজ্য বাজেটে শিক্ষাবন্ধু, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, প্যারা টিচারদের বেতন বৃদ্ধি এবং নতুন নিয়োগের সম্ভাবনাও আছে বলে সূত্রের খবর।