কলকাতা পুরসভা নির্বাচন হতে চলেছে আগামী ১৯ ডিসেম্বর। বাকি পুরসভাগুলির নির্বাচন একসঙ্গে কেন করা হল না? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। তার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট বাকি নির্বাচনগুলি কবে করাতে চায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন, তার জন্য হলফনামা দাবি করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ তারই জবাব দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
রীতিমতো কলকাতা হাইকোর্টে পুরসভা নির্বাচন মামলায় হলফনামা জমা দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আর সেই হলফনামায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন উল্লেখ করেছে, ‘করোনাভাইরাস মহামারীর হাত থেকে ভোটারদের রক্ষা করতেই দফাভিত্তিক ভোটের প্রয়োজন। ৬ থেকে ৮ দফায় ভোট চায় রাজ্য সরকার। মে মাসের মধ্যে বাকি ভোট শেষ করতে চায় রাজ্য সরকার।’ সুতরাং বাকি পুরসভা নির্বাচনগুলি মে মাসের মধ্যে হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে এখানে রাজ্য নির্বাচন কমিশন দফাওয়ারি ভোটের কথা উল্লেখ করেছে। যা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেনি কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও এই দফাওয়ারি ভোটে যেতে রাজি নয় বিজেপি। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপির রাজ্য নেতা বলেন, ‘একদফায় করতে অসুবিধা কোথায়? হতেই পারে। কিন্তু দফায় দফায় ভোট হলে রাজনৈতিক দলের উপর চাপ বেড়ে যায়। তাছাড়া তৃণমূল কংগ্রেসের এখন একটা জয়ের ধারা চলছে। তাই বারবার আমরা হারছি এটা দেখাতে চায়। তাই দফায় দফায় ভোট চাওয়া হচ্ছে।’
আজ, সোমবার নির্বাচন কমিশন আদালতকে জানিয়েছে, ‘নির্বাচন কমিশনের কাছে আছে ১৫ হাজার ৬৮৭ ইভিএম। কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে ব্যবহার করা হবে ৭ হাজার ২১০টি ইভিএম। আর নির্ধারিত দিনে গণনা না হলে হাতে থাকবে ৮ হাজার ৪৭৭ ইভিএম। দফাভিত্তিক গণনা না হলে পরের ভোটের জন্য ইভিএম থাকবে না।’ দফাভিত্তিক ভোট আর দফাভিত্তিক গণনার পিছনে ইভিএম একটা বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন দেখার কলকাতা হাইকোর্ট কোন পথে হাঁটে।