বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > P‌anchayat Election: ২০২৩ সালের শুরুতেই কি পঞ্চায়েত নির্বাচন?‌ কমিশনের নির্দেশিকায় জল্পনা

P‌anchayat Election: ২০২৩ সালের শুরুতেই কি পঞ্চায়েত নির্বাচন?‌ কমিশনের নির্দেশিকায় জল্পনা

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতর। 

হাওড়া পুরসভার আসন পুনর্বিন্যাস সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিজেপির দায়ের করা মামলা খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ১৯ সেপ্টেম্বর জেলা পুর নির্বাচনী আধিকারিক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। উল্লেখ করা হয়, হাওড়া পুরসভায় ওয়ার্ড সংখ্যা ৫০ থেকে বাড়িয়ে ৬৬ করা হবে। এই বিজ্ঞপ্তি খারিজে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি।

আগামী বছরের গোড়াতেই কি পঞ্চায়েত নির্বাচন? এই প্রশ্ন নিয়েই এখন গুঞ্জন শুরু হয়েছে। কারণ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার জেলাগুলিকে একটি নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। আর তা নিয়েই গুঞ্জন দেখা দিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন এগিয়ে আনার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে দার্জিলিং এবং কালিম্পং ছাড়া সব ক’টি জেলার জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচন আধিকারিক এবং জেলাশাসকদের সীমানা পুনর্বিন্যাস এবং আসন সংরক্ষণ সংক্রান্ত খসড়া তালিকা প্রকাশ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি ঠিক কী জানা যাচ্ছে?‌ দু’‌মাস আগে রাজ্যজুড়ে সীমানা পুনর্বিন্যাস এবং আসন সংরক্ষণের কাজ শুরু হয়। সাধারণত প্রতি ১০ বছরে একবার এই কাজ হয়ে থাকে। ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সীমানা পুনর্বিন্যাস এবং আসন সংরক্ষণ কাজ হয়। আর এবার নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জেলাগুলিকে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে সমস্ত জেলায় সীমানা পুনর্বিন্যাস এবং আসন সংরক্ষণ কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ স্তরে সীমানা পুনর্বিন্যাস এবং আসন সংরক্ষণ খসড়া তালিকা ১৯ অক্টোবর তারিখের মধ্যে জেলাগুলিকে প্রকাশ করতে হবে। ওই ‘খসড়া তালিকা’ নিয়ে কারও অভিযোগ থাকলে তা ২ নভেম্বরের মধ্যে জানাতে হবে। আর সমস্ত অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে হবে ১৬ নভেম্বরের মধ্যে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এই নির্দেশিকায় নতুন বছরের শুরুতে পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

কেন এমন মনে করা হচ্ছে?‌ প্রশাসনিক কর্তাদের সূত্রে খবর, আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই রাজ্যজুড়ে পরীক্ষার মরশুম শুরু হয়ে যাবে। আর সেটা চলবে মার্চ মাসের শেষ পর্যন্ত। সেক্ষেত্রে নির্বাচন করতে গেলে পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে। কারণ পরীক্ষা চলাকালীন মাইক বাজিয়ে প্রচার করা যাবে না। আর তাই পঞ্চায়েত নির্বাচন এগিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে সেটা হলে শীতের মরশুমে মানুষের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ দেখা যাবে।

উল্লেখ্য, হাওড়া পুরসভার আসন পুনর্বিন্যাস সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিজেপির দায়ের করা মামলা খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। গত ১৯ সেপ্টেম্বর জেলা পুর নির্বাচনী আধিকারিক একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়, হাওড়া পুরসভায় ওয়ার্ড সংখ্যা ৫০ থেকে বাড়িয়ে ৬৬ করা হবে। এই বিজ্ঞপ্তি খারিজের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। রাজ্য আদালতে জানায়, এই বিজ্ঞপ্তি চূড়ান্ত নয়। তারপরই মামলাটি খারিজের নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

বন্ধ করুন