কলকাতা পুরসভা নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। বুধবার সেই মামলার শুনানি রয়েছে। তবে কলকাতা পুরসভা নির্বাচন হচ্ছে ১৯ ডিসেম্বর। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে ভোটার পিছু নির্বাচনী খরচ বাড়াল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কেমন হবে সেই খরচ? নির্দেশিকা অনুযায়ী, একজন প্রার্থী তাঁর ওয়ার্ডের ভোটার পিছু সর্বাধিক ৮ টাকা খরচ করতে পারবেন। যা আগে ছিল ৬ টাকা। সুতরাং বাড়ল দু’টাকা।
এই বেঁধে দেওয়া খরচের উপর নজর রাখবেন তাঁরা। নির্বাচনী প্রচারে প্রার্থীরা খরচ করেন জনসভা, রোড–শো, পোস্টার এবং ব্যানার দিয়ে। তাতে অর্থ লাগে। কিন্তু সেটা লাগামছাড়া হতে পারে না। তাই এবার এই খরচের বিষয়ে বেঁধে দেওয়া হল। এই টাকার বাইরে খরচ কোনও প্রার্থী করলে পরবর্তী ক্ষেত্রে তাঁকে তার দায় নিতে হয়। এমনকী শাস্তিও পেতে পারেন।
ঠিক কী নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন? কলকাতা পুরসভা নির্বাচন নিয়ে কমিশনের নির্দেশ, কোনও ওয়ার্ডে যদি ১০ হাজার ভোটার থাকে তাহলে একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ৮০ হাজার টাকা খরচ করতে পারবেন। তার বেশি হলেই জবাবদিহি তলব করা হবে। আর যদি ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজারের মধ্যে ভোটার সংখ্যা হলে ভোটার পিছু আট টাকা খরচ করা যাবে। আর ৫০ হাজারের বেশি ভোটার হলে প্রার্থী নির্বাচনে ৪ লক্ষ টাকা খরচ করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, এই নিয়ে বেশকিছু প্রার্থীর ক্ষোভ রয়েছে। অনেকেই বলেছেন, এভাবে খরচে রাশ টানলে মানুষের সঙ্গে জনসংযোগে সমস্যা তৈরি হয়। প্রচারে কাটছাট করতে হয়। ২০১৩ সালের পুরসভা নির্বাচনে ১০ হাজার পর্যন্ত ওয়ার্ডের ভোটারের জন্য ৬০ হাজার টাকা খরচ করা যেত। আর ৫০ হাজার পর্যন্ত ভোটারযুক্ত ওয়ার্ডে মাথাপিছু ছয় টাকা এবং তার বেশি ভোটারের ক্ষেত্রে ৩ লক্ষ টাকা খরচ করার নিয়ম ছিল। এবার তাতে পরিবর্তন আনল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।