বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন কবে হবে? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্য–রাজনীতির অলিন্দে। কারণ রাজ্য নির্বাচন কমিশন যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করে ফেলেছে। এমনকী আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য বুথ সংখ্যাও চূড়ান্ত করে ফেলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এখন শুধু কলকাতা হাইকোর্টের সবুজ সংকেতের অপেক্ষা। তারপরই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে যাবে বলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে।
ঠিক কী তথ্য মিলেছে? রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নথি অনুযায়ী, এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের ৬৩ হাজার ২২৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত, ৯ হাজার ৭৩০টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং ৯২৮টি জেলা পরিষদ আসনে ভোট হবে। মোট ৬১ হাজার ৩৪০টি বুথে হবে ভোটগ্রহণ পর্ব। সঙ্গে থাকছে দু’হাজার ‘অক্সিলিয়ারি বুথ’। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের গাইডলাইন মেনেই বুথের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি একহাজার ভোটার পিছু থাকছে একটি বুথ। এবার সব থেকে বেশি বুথ হচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। এখানে মোট বুথের সংখ্যা ৬ হাজার ২২৬। কারণ এই জেলাতেই সর্বাধিক (৫৭ লক্ষ ৭৪ হাজার ৮৮২ জন) ভোটার ও সবচেয়ে বেশি (৩১০টি) গ্রাম পঞ্চায়েত আছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? দক্ষিণ ২৪ পরগনার পর দ্বিতীয় মুর্শিদাবাদ। এই জেলার ২৫০টি গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ৫ হাজার ৪৩৮টি বুথে ভোট হবে। তারপর উত্তর ২৪ পরগনায় ৪৫৩২, পূর্ব মেদিনীপুরে ৪১১৬, পূর্ব বর্ধমানে ৩৯৩৩, নদীয়ায় ৩৮৯৬ এবং বাঁকুড়ায় ৩১০০টি বুথ হচ্ছে। বাকি জেলাগুলিতে বুথ সংখ্যা এক থেকে দু’হাজারের মধ্যে থাকছে। আর সবচেয়ে কম বুথ হচ্ছে কালিম্পং জেলায়। এখানে বুথ সংখ্যা মাত্র ২৬৩। রয়েছে ৪২টি গ্রাম পঞ্চায়েত। রাজ্যের মোট ভোটারের সংখ্যা ৫ কোটি ৬৬ লক্ষ ৭৪ হাজার ৯১১।
কবে হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন? সূ্ত্রের খবর, নির্বাচন কমিশনের বুথ সংখ্যা নির্ধারণ হয়ে যাওয়ার সঙ্গেই প্রস্তুতি পর্ব শেষ হয়েছে বলা যেতে পারে। এখন নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণায় কলকাতা হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ রয়েছে। সেটা উঠে গেলেই এই বিষয়ে রাজ্য সরকারকে চিঠি দেওয়া হবে। এখন রাজ্যে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। যা শেষ হবে ২৮ মার্চ। ততদিনে এই স্থগিতাদেশ উঠে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তারপরই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সহমতের ভিত্তিতে নির্বাচনের দিনক্ষণ স্থির হয়। সুতরাং মে মাসের আগে পঞ্চায়েত নির্বাচন হচ্ছে না।