কদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন নবান্নে যাচ্ছিলেন তখন দেখেছিলেন বাসের জন্য পথে ঠায় দাঁড়িয়ে আছেন মানুষজন। আর তারপরই প্রশাসনিক বৈঠকে ধমক খেয়েছিলেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তাঁর দফতরকে ‘সাইলেন্ট ডিপার্টমেন্ট’ বলে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। তারপর নানা রুটে বাস বাড়তে শুরু করে। রাস্তায় নেমে যাত্রীদের অভিজ্ঞতা জানতে চান খোদ পরিবহণমন্ত্রী। এই আবহে এবার মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে যাত্রীদের দাবি অনুযায়ী, রাস্তায় আরও বেশি সংখ্যক বাস নামাতে ৯০০ কর্মী নিয়োগ করতে চলেছে পরিবহণ দফতর।
নবান্ন সূত্রে খবর, সরকারি বাস যাতে রাস্তায় বেশি নামানো যায় তার জন্য ৪৫০ জন বাস চালক এবং ৪৫০ জন কন্ডাক্টর পদে নিয়োগ হতে চলেছে। এই বিষয়ে অর্থ দফতর ৯০০ অস্থায়ী পরিবহণ কর্মী নিয়োগের প্রস্তাবে সিলমোহর দিয়েছে। মন্ত্রিসভার পরের বৈঠকে সেটা অনুমোদন করিয়ে নেওয়া হবে। আর তখনই শুরু হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া। আবার যাত্রী পরিষেবায় স্বাচ্ছন্দ্য আনতে ২০০টি নতুন সিএনজি বাস পথে নামতে চলেছে। কারণ যাত্রীদের অভিযোগ, পর্যাপ্ত সংখ্যক সরকারি বাস পথে মেলে না। সে কথা জানতে পেরেই এমন পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: গঙ্গাসাগর মেলার প্রত্যেকটি বাসে থাকবে ‘সাগর বন্ধু’, কোন সমস্যার সমাধান করবে?
সরকারি বাস বেশি সংখ্যক রাস্তায় থাকুক সেটা চায় রাজ্য সরকার। আর তা নিয়ে চেষ্টা করছেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। ট্রিপের সংখ্যা বাড়ালে রাস্তায় তার প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। সেখানে পর্যাপ্ত কর্মীর অভাব আছে। তাই এই নিয়োগ করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সরকারি বাস সম্পর্কে জানতে পথে ইতিমধ্যেই নেমেছেন মন্ত্রী, সচিব এবং আমলারা। সেখানে যাত্রীদের একাধিক নয়া রুটে সরকারি বাস চালানোর দাবি শুনেছেন তাঁরা। তারপর প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই আবহে নতুন বছরে আরও ২০০টি সিএনজি বাস পথে নামতে চলেছে।
এছাড়া নবান্ন সূত্রে খবর, নতুন বাস নামলে এবং নিয়োগ হয়ে গেলে যাত্রীদের আর এই বাড়তি সময় ব্যয় করে রাজপথে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। এই নিয়োগ সম্পন্ন হলে এবং নতুন ২০০টি বাস পথে নামলে রাত পর্যন্ত তা পাবেন নিত্যযাত্রীরা। বেসরকারি বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলবে সরকারি বাস। সেক্ষেত্রে যাত্রীদের আর অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তাই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে খুব শীঘ্রই মোটা অঙ্কের অর্থ পেতে চলেছে পরিবহণ দফতর। যে টাকা দিয়ে বসে যাওয়া এসি–নন এসি বাস মেরামত করা হবে। আর তারপর রাস্তায় নামানো হবে। সব মিলিয়ে নানা রুটে বাংলার পথে সার্বিকভাবে সরকারি বাসের সংখ্যা বাড়বে।