বর্ষা এসে গিয়েছে। জল জমার প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। করোনার দাপটের মধ্যেই ডেঙ্গুকে ঘিরে নতুন করে উদ্বেগ ছড়াচ্ছে। এদিকে ডেঙ্গু মোকাবিলায় রাজ্যের পরিকাঠামো যথাযথ রয়েছে তা নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।তবে রাজ্যের দাবি মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে যাবতীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে কেন্দ্রেরও একটা ভূমিকা থাকে। কিন্তু গত কয়েকবছর ধরে এব্যাপারে কেন্দ্র থেকে কার্যত কোনও আর্থিক সহায়তা পায়নি রাজ্য । সেকারণে এবার অর্থ সাহায্য চেয়ে কেন্দ্রের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে নবান্ন।
রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, গত তিনবছর ধরে রাজ্য সরকার একেবারে নিজেদের উদ্যোগে মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে যাবতীয় কাজ করছে। এজন্য প্রতিবছর প্রায় ৭০০ কোটি টাকা করে খরচ হয়। এব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারেরও অর্ধেক আর্থিক সহায়তা সাধারণত করে থাকে। কিন্তু গত কয়েকবছর ধরে কেন্দ্র থেকে এব্যাপারে কোনও আর্থিক সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। এর জেরে এবার বকেয়া অর্থ চেয়ে ফের কেন্দ্রের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, গতবছর রাজ্যে ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছুটা কম ছিল। তবে এবার আগাম ব্যবস্থা না নিলে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে পারে। ২০১৯ সালে রাজ্যে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল প্রায় ৪৭ হাজার ৯২৮জন। ২৫জনের মৃত্যুও হয়েছিল। ২০২০ সালে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে যায়। সেবার ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্য়া ছিল ৪ হাজার ১৯৫জন। গতবছর মৃত্য়ু হয়েছিল ১০জনের। এদিকে চলতি বছরের ১৬ই জুন পর্যন্ত রাজ্যে মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল২৩৪ জন। তবে এবার করোনার ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়লে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। এমনটাই মত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।