বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা বিজেপি ঘনিষ্ঠ, রাজ্যের হলফনামায় তোলপাড়

মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা বিজেপি ঘনিষ্ঠ, রাজ্যের হলফনামায় তোলপাড়

কলকাতা হাইকোর্ট (ফাইল ছবি, সৌজন্য পিটিআই)

এমনকী প্রশ্ন তোলা হয়েছে, এই রিপোর্ট কিভাবে নিরপেক্ষ হতে পারে?

বাংলায় নির্বাচন পরবর্তী হিংসা নিয়ে কড়া রিপোর্ট দাখিল করেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এবার সেই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টে পাল্টা হলফনামা জমা করল রাজ্য সরকার। সেই হলফনামায় বিস্ফোরক অভিযোগ তোলা হযেছে। মানবাধিকার কমিশনের সদস্যদের বিজেপি ঘনিষ্ঠতা নিয়ে অভিযোগ করা হল হলফনামায়। এমনকী প্রশ্ন তোলা হয়েছে, এই রিপোর্ট কিভাবে নিরপেক্ষ হতে পারে? বেশকিছুদিন আগে থেকেই রাজ্যের নেতা–নেত্রীরা এই অভিযোগ তুলছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা প্রমাণ তুলে এই রিপোর্টের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছিল।

কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা পেশ করেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকা। ঠিক কী রয়েছে হলফনামায়?‌ রাজ্যের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টের পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবেই এই নেতিবাচক রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। এমনকী কমিটির সদস্যদের কয়েকজন বিজেপি–ঘনিষ্ঠ। তাঁদের উপর কেন্দ্রীয় সরকারের প্রভাব রয়েছে। সুতরাং তাঁদের থেকে নিরপেক্ষ তদন্ত আশা করা যায় না। প্রমাণ হিসাবে, কমিটির সদস্যদের বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে বিজেপি যোগ তুলে ধরা হয়েছে। এখানে রাজীব জৈনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বিজেপি সরকারের আমলে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছেন রাজীব। নরেন্দ্র মোদী গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি আহমেদাবাদের ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর প্রধান ছিলেন। আতিফ রশিদ বিজেপির টুইটার হ্যান্ডেলের দায়িত্বে ছিলেন। দিল্লির পুরভোটে বিজেপির হয়ে লড়াই করেছেন।

এই সব তথ্য তুলে শোরগোল ফেলে দেওয়া হয়েছে। রাজুলবেন দেশাই–কে নিয়ে হলফনামায় বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে গুজরাতে ‘‌বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’‌ প্রকল্পের ইনচার্জ ছিলেন তিনি। সুতরাং রাজনৈতিক অভিসন্ধি নিয়েই সম্পূর্ণ ভুল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে রাজ্যের পক্ষ থেকে। অনুমানের ভিত্তিতে ৩৪২৮ পাতার রিপোর্টে দেওয়া হয়েছে। সেখানে কোনও প্রমাণ নেই বলেও দাবি করা হয়েছে। একাধিক রাজনৈতিক নেতাদের অপরাধী বলা হয়েছে। অথচ প্রমাণ নেই।

রাজ্য সরকার হলফনামায় বলেছে, এই কমিটিকে শুধুমাত্র খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে কমিটি কোনও সুপারিশ করতে পারে না। এখানে কমিটি সিবিআই তদন্তের সুপারিশ দিয়েছে। যেটা এক্তিয়ার বহির্ভূত। এই কমিটির রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়েছে, নির্বাচন–পরবর্তী অশান্তির জন্য রাজ্যের পরিকাঠামো দায়ী। পাল্টা রাজ্যের দাবি, পুলিশ এবং প্রশাসনের সম্মানহানি করতেই এই রিপোর্ট। ফলপ্রকাশের পর থেকে পুলিশ–প্রশাসন সবরকম পদক্ষেপ করেছে।

বন্ধ করুন