নড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনায় ফের বিজেপিকেই কাঠগড়ায় তুলল তৃণমূল। শুক্রবার তৃণমূল ভবনে এক সাংবাদিক বৈঠকে উলটে জেপি নড্ডার বিরুদ্ধেই আইনভঙ্গ করার ও দুষ্কৃতীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ তুললেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে তাঁর দাবি, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিধানসভা ছাড়া অন্য কোথাও জবাবদিহি করতে বাধ্য নয় রাজ্য সরকার। এমনকী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকেরও মুখ্যসচিব ও ডিজিকে তলব করার এক্তিয়ার নেই বলে দাবি করেন তিনি।
এদিন কল্যাণবাবু বলেন, ‘গতকাল জেপি নড্ডাকে বুলেট প্রুফ গাড়ি দেওয়া হয়েছিল। তাঁর কনভয়ের আগে ছিল এসকর্ট। রাজ্য পুলিশের তরফে এসকর্টের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। একজন জেড ক্যাটাগরির নিরপাত্তা প্রাপক হিসাবে তাঁর কনভয়ে অ্যাডিশনাল এসপি ছিলেন ৮ জন, ডেপুটি পুলিশ সুপার ছিলেন ৮ জন, ৩০ জন ইন্সপেক্টর ছিলেন, ৪০ জন RAF ও ১৪৫ জন কন্সটেবল ছিলেন। অর্থাৎ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল তাঁকে’।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ‘নড্ডার কনভয়ের সামনে অন্তত ৫০টি গাড়ি ছিল। গাড়ি ছিল পিছনেও। সঙ্গে ছিল প্রায় ৪০টি মোটরসাইকেল। একজন জেড শ্রেণির নিরাপত্তা প্রাপকের কনভয়ের সামনে – পিছনে অন্য কোনও গাড়ি থাকতে পারে না। অর্থাৎ নড্ডা বেআইনি কাজ করেছেন’।
একই সঙ্গে বিজেপি নেতা রাকেশ সিংকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করেন কল্যাণ। বলেন, রাকেশ সিং নামে এক ব্যক্তি তৃণমূলের মঞ্চের সামনে গাড়ির দরজা খুলে প্ররোচনামূলক অঙ্গভঙ্গি করেন। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৫৯টি ফৌজদারি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এই ধরনের একজন দুষ্কৃতী নড্ডার কনভয়ে কী করছিলেন? কল্যাণবাবু জানান, ইতিমধ্যে রাকেশ সিং সহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মামলা রুজু করেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা পুলিশ।
সঙ্গে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন দাবি করেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে একমাত্র বিধানসভাকে জবাবদিহি করার দায় রয়েছে সরকারের। অন্য কোনও সংস্থাকে রাজ্য সরকার এব্যাপারে জবাবদিহি করতে বাধ্য নয়। এমনকী কোনও একটি নির্দিষ্ট ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তলব করতে পারে না বলে দাবি করেছেন তিনি। তাঁর চ্যালেঞ্জ, কোন আইনে ডিজি ও মুখ্যসচিবকে তলব করা হয়েছে তা জানাক কেন্দ্রীয় সরকার।