রাজ্যে চোখরাভানি দেখাচ্ছে করোনাভাইরাস। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। সেখানে কলকাতার অবস্থা আরও খারাপ। খাস শহরেই থাবা বসাচ্ছে এই সংক্রমণ। অন্যান্য রাজ্যেও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে করোনা সংক্রমণ। তাই করোনা সংক্রমণের হার কমাতে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার৷ ২০২০ সালে করোনা অতিমারির সময় এই নির্দেশগুলির অধিকাংশই বলবৎ ছিল এই রাজ্যে৷ ফের সেই নির্দেশিকাগুলিই জারি করতে বাধ্য হল প্রশাসন৷
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৭১৩ জন৷ চিন্তা বাড়িয়ে এদিন মৃতের সংখ্যাও বেড়ে হয়েছে ৩৪৷ সবথেকে খারাপ অবস্থা কলকাতার৷ এখানে একদিনে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় দু’ হাজার৷ যা কপালে ভাঁজ ফেলেছে চিকিৎসকদের। এদিন ১১ দফা নির্দেশ জারি করেছে রাজ্য সরকার৷ মূলত মানুষের জনসমাগম হয় যেখানে, সেখানে যাতে স্বাস্থ্য বিধি মানা হয় তার জন্যই এই নতুন গাইডলাইন। এখন অবশ্য রাজ্যে ভোট চলছে।
অন্যদিকে যে ১১ দফা গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে—এক, সমাগম হয় এমন সমস্ত জায়গায়, গণপরিবহণে মাস্ক পরা, স্যানিটাইজারের ব্যবহার করা, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো বিধিগুলি মানতে হবে। আর স্থানীয় প্রশাসনকে নজরদারি চালাতে হবে৷
দুই, সরকারি–বেসরকারি অফিস, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, শিল্প–বাণিজ্য কমপ্লেক্সে সপ্তাহে একবার সম্পূর্ণ স্যানিটাইজেশনের কাজ করতে হবে৷
তিন, বাজারগুলিতে স্যানিটাইজেশনের কাজ করতে হবে৷
চার, বাজার, গণপরিবহণে মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করতে হবে৷
পাঁচ, দোকান, বাজার, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে কাজের সময় ভাগ করে দিতে হবে। যাতে একসঙ্গে বেশি মানুষের ভিড় না হয়৷
ছয়, রাজ্য সরকারি অফিসগুলিতে সর্বাধিক ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে রোজ কাজ চালাতে হবে৷ কর্মীদের শিফটে অফিসে আনতে হবে৷
সাত, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার ব্যবস্থা শুরু করতে হবে৷
আট, কর্মস্থলে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে নিশ্চিত করতে হবে যাতে কর্মীরা মাস্ক পরেন এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেন৷
নয়, শপিং মল, মাল্টিপ্লেক্স, হোটেল, রেস্তোরাঁতে প্রবেশ এবং বাইরে যাওয়ার পথে স্যানিটাইজার, হ্যান্ডওয়াশ, থার্মাল স্ক্যানিং–এর ব্যবস্থা রাখা বাধ্যতামূলক৷
দশ, স্টেডিয়াম এবং সুইমিং পুলগুলিতে আগের গাইডলাইনই মানতে হবে৷
এগারো, করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে তৈরি রাখার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে নিয়মে বাঁধতে হবে।