'লক্ষীর ভাণ্ডার' প্রকল্পে গ্রাহকদের তথ্যকে ত্রুটি মুক্ত করতে চাইছে রাজ্য সরকার। সেই কারণে উপভোক্তাদের নথিপত্র পুনরায় যাচাই করার নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে নথিপত্র যাচাইয়ের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
কী কারণে সরকারের এমন নির্দেশ?
অভিযোগ, লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পে অনেক উপভোক্তা মাসে একাধিকবার আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন। এর কারণ অনেক মহিলাই বেশ কয়েকবার লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছেন। সেই সময় নথিপত্রও এত খতিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি। ফলে অনেক মহিলাই মাসে বহু বার লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা পাচ্ছেন।
সম্প্রতি এই বিষয়টি নজরে আসতে নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে রাজ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা পাচ্ছেন প্রায় ১.৪৫ কোটি উপভোক্তা। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সমস্ত উপভোক্তাদের মধ্যে যাঁদের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে। প্রয়োজনে সরকারের প্রতিনিধিরা তাদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে নথিপত্র যাচাই করবেন। প্রয়োজন হলে সরকার নিজেই উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে দেবে। রাজ্য সরকারের তরফে সমস্ত জেলা প্রশাসনকে ইতিমধ্যে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ফলে এমনিতেই টান পড়েছে সরকারি কোষাগারে। এই অবস্থায় একই উপভোক্তা মাসে একাধিকবার এই প্রকল্পের অর্থ পেলে কোষাগারের অবস্থা আরো খারাপ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেই কারণে জরুরি ভিত্তিতে ওই প্রকল্পের তথ্য ভাণ্ডারকে ত্রুটিমুক্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র বৈধ উপভোক্তাকেই আর্থিক সুবিধাপ্রাপকদের তালিকার রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে।
একইসঙ্গে যে সমস্ত উপভোক্তার নথিপত্র যাচাই করা হবে সেই সময়ের জন্য তাঁদের আর্থিক সহায়তা প্রদান বন্ধ রাখা হবে। নথিপত্র যাচাইয়ের পর তাঁদের পুনরায় আর্থিক সহায়তা করা হবে। তবে যাঁদের নথিপত্র ঠিক রয়েছে সেক্ষেত্রে তারা নিয়মিত আর্থিক সহায়তা পেয়ে যাবেন বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, যে সমস্ত উপভোক্তা মাসে একাধিকবার আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন, সেই সমস্ত অর্থ ফিরিয়ে আনারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও জেলা প্রশাসনের দাবি ইতিমধ্যেই সেইসব গরমিল খুঁজে বার করা হয়েছে। ফলে এই কাজে খুব বেশি দেরি হবে না।