চট শিল্পকে বাঁচাতে পাটের দামের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। মোদী সরকারের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যের পক্ষ থেকে এই দাবি জানানো হল। পাট শিল্প নিয়ে গত সোমবার কেন্দ্র-রাজ্য এবং চটকল মালিকদের ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে পাটের দামের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করা হয়। রাজ্যের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, পাটের দামের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দিলে সে ক্ষেত্রে শুধু পাট শিল্পই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, রাজ্যের চাষীরাও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
এর পাশাপাশি খাদ্যশস্যের প্যাকেজিংয়ের ক্ষেত্রে চটের ব্যাগ ১০০ শতাংশ ব্যবহারের দাবি জানিয়েছে রাজ্য সরকার। ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে শ্রমসচিব বরুণ রায় জানিয়েছেন, খাদ্যশস্যের প্যাকেজিংয়ের ক্ষেত্রে চটের ব্যাগের ব্যবহার যেন কোনওভাবেই ১০০ শতাংশের কম না হয়। তাহলে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি এবং পাট শিল্প সবকিছুই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এখন থেকেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনা না গেলে তাতে সমস্যা আরও বাড়বে। রাজ্যের পাশাপশি চটকল মালিকদের সংগঠনও একই দাবি জানিয়েছেন। চটকল মালিকদের সংগঠন ইজমার চেয়ারম্যান রাঘবেন্দ্র গুপ্তা জানিয়েছেন ঊর্ধ্বসীমা বাঁধা যাবে না। একইসঙ্গে ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশ এবং হাইকোর্টের রায় মেনে চটকল মালিকদের বকেয়া টাকা মেটাতে হবে। তবে সেই টাকা দ্রুত দেওয়া হবে বলে মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে।
চট শিল্প নিয়ে বর্তমানে কিছুটা অস্বস্তিতে রয়েছে বিজেপি। কারণ দলের সাংসদ অর্জুন সিং মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ফলে এই সমস্যার সমাধানে উদ্যোগে হয়েছেন কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে একটি নোট পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বস্ত্র সচিব উপেন্দ্রপ্রসাদ সিং।
প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠকের পর আশা প্রকাশ করছে রাজ্য সরকার। সেই ক্ষেত্রে পাটের ঊর্ধ্বসীমা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত দ্রুত নিতে পরে কেন্দ্র। অর্জুন সিং বলেন, ‘বৈঠক সার্থক হয়েছে বলেই আমি শুনেছি। তাতে আমি কিছুটা সন্তুষ্ট।’ দ্রুতই মন্ত্র এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। আগামী দিনের বস্ত্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হতে পারে। সেই আলোচনায় তিনি অংশগ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন।