করোনাভাইরাস সংক্রমণে যখন প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে লড়ছেন চিকিৎসক, নার্স ও হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীরা তখন তাদের জীবন নিয়ে ছেলেখেলা করার অভিযোগ উঠল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, যে পোশাক পরে করোনারোগীর চিকিৎসা করতে হয়, সেই PPE বা পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্টের বদলে হাসপাতালগুলিতে পাঠানো হয়েছে সস্তা রেইন কোট। যা দেখে হতবাক চিকিৎসকরা। এই পোশাক পরে করোনারোগীর চিকিৎসা করলে সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
রাজ্যে করোনা সংক্রমণ দেখা দেওয়ার পরেই চিকিৎসা সামগ্রীর অভাব হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন মমতা। সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছিলেন ২ লক্ষ PPE-র অর্ডার দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত ঢাকা এই পোশাক পরেই করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করতে হয়। কিন্তু রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের অভিযোগ, সম্প্রতি তাঁদের কাছে PPE-র নামে যে বস্তু পৌঁছেছে তা আসলে সস্তার রেইন কোট।
চিকিৎসকদের দাবি, এই পোশাক পরে করোনারোগীর চিকিৎসা করতে গেলে সংক্রমণের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ PPE প্রায় বায়ুনিরুদ্ধ একটি পোশাক। সেখানে রেইন কোটে বুকে কোমরে বায়ু চলাচলের সুযোগ রয়েছে। গলার কাছেও বায়ু প্রবেশের পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে। যা কখনোই PPE-র পরিপূরক হতে পারে না।
একই সঙ্গে চিকিৎসকদের অভিযোগ, তাদের জন্য সরকারের তরফে যে গ্লাভস ও মাস্ক পৌঁছেছে, তাও নিম্নমানের। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের এই পোশাক পরেই চিকিৎসা করতে হবে বলে সূত্রের খবর। যাতে ক্ষুব্ধ চিকিৎসকরা।