কোভিডের বাড়বাড়ন্তের কারণে আপাতত বন্ধ রয়েছে সমস্ত স্কুল-কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সেইসঙ্গে করোনা মোকাবেলায় রাজ্যের বহু এলাকাকে কনটেনমেন্ট জোন এবং মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তারপরেও করোনার বাড়বাড়ন্ত রোখা সম্ভব হচ্ছে না।
এরইমধ্যে রাজ্যের ৪ পুরনিগমের ভোট হতে চলেছে। তার পাশাপাশি গঙ্গাসাগর মেলাতে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর ভিড় জমেছে। এই পরিস্থিতিতে পূর্ব নির্ধারিত দিনে আগামী ৩১ জানুয়ারি কলকাতা বইমেলা হবে কি না তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত ভাবে বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে গিল্ড সূত্রে জানা যাচ্ছে, চলতি সপ্তাহে এ নিয়ে রাজ্য সরকার বৈঠক করবে। সেখানে বইমেলা নির্ধারিত দিনে হবে নাকি পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, 'বইমেলা আদৌও নির্ধারিত দিনে হবে কি না তা নিয়ে খুব সম্ভবত এ সপ্তাহে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারে।' তবে বইমেলা যদি হয় সে ক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে কোভিড বিধি মেনে চলা হবে বলেই জানাচ্ছেন গিল্ড কর্তারা। তাঁরা জানাচ্ছেন, ছোট-বড় পাবলিশার্সদের খুশি করার জন্য স্টলে সংখ্যা কমানো সম্ভব নয়। তবে কোভিড সংক্রমণ রুখতে স্টলের আয়তন ছোট করা হবে। জানা যাচ্ছে, এবার স্টলের আয়তন কমিয়ে ৫০ থেকে ১০৫০ বর্গ ফুটের মধ্যে রাখা হবে।
বইমেলা নিয়ে গিল্ড কর্তার এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত না হলেও যদি সরকার অনুমতি দেয় তাহলে বইমেলা করা সম্ভব হবে। তাই আগে থেকেই বইমেলার কিছু কাজ এগিয়ে রাখতে চাইছেন তাঁরা। স্টল বিতরণ পর্ব থেকেই কোভিড বিধি মেনে চলার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ত্রিদিববাবু। সেক্ষেত্রে স্টল বিতরণের জন্য দুদিনের জায়গায় আরও বেশি সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন গিল্ডের সভাপতি সুধাংশু শেখর দে। এর কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, স্টল বন্টন পর্বে ভিড় এড়ানোর জন্য সময় বেশি লাগবে। বইমেলা হবে কিনা তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত না থাকলেও গিল্ড কর্তারা আপাতত স্টল বন্টন পর্ব এগিয়ে রাখতে চাইছেন।
তবে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও যদি বইমেলা হয় সেক্ষেত্রে বিদেশি অতিথিদের ভিড় এবার খুব বেশি হবে না বলেই অনুমান করছেন গিল্ড কর্তারা। কারণ সেক্ষেত্রে তাদের এদেশে আসার পর নিয়ম অনুযায়ী ১৫ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
অন্যদিকে, এবারের থিম যেহেতু বাংলাদেশে। তাই সে দেশের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছেন গিল্ড কর্তারা। তবে সব মিলিয়ে এ সপ্তাহ আগেও বইমেলার অনুমতি পাওয়া গেলে সে ক্ষেত্রে মাঠ প্রস্তুত করে বইমেলা করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন ত্রিদিববাবু।