করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ধাক্কা খেয়েছিল অর্থনীতি। তারপর দেখা যায়, মদ বিক্রি করে রাজ্য বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় করেছিল। এমনকী অতিমারি আবহেও দুয়ারে মদ পৌঁছে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। তখন রাজ্যের আবগারি দফতরের পোর্টাল থেকে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করত বিভিন্ন মদের দোকান। এভাবেই দুয়ারে অর্ডার অনুযায়ী বিয়ার, হুইস্কি, রাম, দেশি মদ পৌঁছে যেত।
এবার এই পরিষেবাকে পাকাপাকি করতে বিভিন্ন ই–রিটেল সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করে বড় আকারে চালু করতে চাইছে রাজ্য সরকার। যার ফলে বাড়ি বসেই অর্ডার করলে মদের বোতল নিয়ে হাজির হবেন দূত। তাতেই গলা ভেজানো যাবে কোনও ঝামেলা ছাড়াই। সরকারিভাবে এটিকে মদের ‘ই–রিটেল’ বলা হচ্ছে। আর বাকি সাধারণ জনগণ বলছেন, ‘দুয়ারে মদ’ প্রকল্প।
আবগারি দফতর সূত্রে খবর, এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই কথাবার্তা একপ্রস্থ হয়ে গিয়েছে। এমনকী মদের ই–রিটেল করতে আগ্রহী সংস্থাদের কাছ থেকে আবেদনপত্র চাওয়া হয়েছিল। সেই সব সংস্থাকেই আবেদন করতে বলা হয়েছিল, যারা অনলাইনে সুরাপ্রেমীদের বরাত নিতে পারবেন এবং বিভিন্ন খুচরো দোকান থেকে মদ কিনে ক্রেতাদের দুয়ারে পৌঁছে দিতে পারবেন। শর্ত হিসাবে বলা হয়েছে, মদ বিক্রি করা যাবে শুধুমাত্র সাবালক ক্রেতাদেরই।
জানা গিয়েছে, এখন পর্যন্ত চারটি সংস্থাকে বাছা হয়েছে। তার মধ্যে একটি কলকাতার। বাকি তিনটি বাইরের রাজ্যের। এখন কোন সংস্থা কোন এলাকায় কাজ করবে, কীভাবে অনলাইনে অর্ডার নেওয়া হবে সেসব চূড়ান্ত হয়নি। ফেব্রুয়ারি মাসেই চার সংস্থার সঙ্গে ‘মউ’ চুক্তি সাক্ষরিত হবে। আর এপ্রিল মাস থেকে শুরু হয়ে যাবে দুয়ারে মদ পরিষেবা।