বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Nabanna: মৎস্যজীবীদের মাথাপিছু পাঁচ লক্ষ টাকার বিমা প্রকল্প, নয়া সিদ্ধান্ত নবান্নের

Nabanna: মৎস্যজীবীদের মাথাপিছু পাঁচ লক্ষ টাকার বিমা প্রকল্প, নয়া সিদ্ধান্ত নবান্নের

মৎস্যজীবীদের জন্য বিনামূল্যে ৫ লক্ষ টাকার বিমা দিতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বাংলার মৎস্যজীবীদের জন্য সচিত্র পরিচয়পত্র করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। এবার দুয়ারে সরকার শিবিরের মাধ্যমে মৎস্যজীবীদের নিবন্ধীকরণ প্রক্রিয়া চালাবে রাজ্য সরকার। তার ভিত্তিতে প্রত্যেক মৎসজীবীকে একটি করে বারকোড যুক্ত পিভিসির তৈরি সচিত্র পরিচয়পত্র দেওয়া হবে।

রাজ্যের প্রায় ১৫ লক্ষ মৎস্যজীবীকে বিনামূল্যে ৫ লক্ষ টাকার বিমা দিতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তবে এই প্রকল্পে আসার জন্য নাম নথিভুক্ত করতে হবে। আগামী ১ নভেম্বর থেকে নাম নথিভুক্ত করা যাবে। দুয়ারে সরকার শিবিরে গিয়ে এই প্রকল্পে নাম তুলতে হবে। মৎস্যজীবীদের জন্য ক্রেডিট কার্ড করে আগেই মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার এই বিপুল পরিমাণ মৎস্যজীবীকে বিমার আওতায় নিয়ে এসে তাঁদের জীবন সুরক্ষিত করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ঠিক কী বলছেন মৎস্যমন্ত্রী?‌ মৎস্যজীবীদের বিমার আওতায় নিয়ে আসার বিষয়ে মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী বলেন, ‘‌প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা হাওড়া এবং দুই মেদিনীপুরের মৎস্যজীবীদের এই বিমার আওতায় আনছি। দুয়ারে সরকারের পর মৎস্যজীবীদের তথ্যভাণ্ডার তৈরি হলে বাকিদেরও সুবিধা দেওয়া হবে।’‌ অর্থাৎ এখন এই তিন জেলা সুবিধা পাবে। তারপর বাকি জেলাগুলির মৎস্যজীবীরাও এই বিমার আওতায় আসবেন। যা একপ্রকার যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

বিমা করলে কী সুবিধা মিলবে?‌ নবান্ন সূত্রে খবর, এই পর্যায়ে প্রায় ১৫ লক্ষ মৎস্যজীবী বিমার জন্য নাম নথিভুক্ত করবেন। তার ফলে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে একজন মৎস্যজীবীর পরিবার পাবে ৫ লক্ষ টাকা। জখম হলে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা বাবদ খরচ পাবেন মৎস্যজীবীরা। তবে নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসার জন্য ১ লক্ষ টাকাও পেতে পারেন। মৎস্যজীবীদের জীবনের ঝুঁকির পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়েন তাঁরা। প্রাণহানি পর্যন্ত হয়।। তাই তাঁদের বিমা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন।

আর কী বলছেন মন্ত্রী বিমা প্রকল্প নিয়ে?‌ এই গোটা প্রকল্পটি নিয়ে মন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী বলেন, ‘‌হাজার অর্থনৈতিক টানাটানির মধ্যেও সাধারণ মৎস্যজীবীদের কথা মাথায় রেখে এই উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। মৎস্যজীবীদের বলব, দুয়ারে সরকার শিবিরে এসে আপনারা নাম নথিভুক্ত করুন।’‌ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বাংলার মৎস্যজীবীদের জন্য সচিত্র পরিচয়পত্র করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। এবার দুয়ারে সরকার শিবিরের মাধ্যমে মৎস্যজীবীদের নিবন্ধীকরণ প্রক্রিয়া চালাবে রাজ্য সরকার। তার ভিত্তিতে প্রত্যেক মৎসজীবীকে একটি করে বারকোড যুক্ত পিভিসির তৈরি সচিত্র পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। বিমার সুবিধা পেতে দুয়ারে সরকার শিবিরে গিয়ে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে হবে মৎস্যজীবীদের। আবেদনকারীর নমিনির নাম, সম্পর্ক, ঠিকানা ও বয়স দিতে হবে। সেই সঙ্গে লাগবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য। ইতিমধ্যে আবেদনপত্রের খসড়া খতিয়ে দেখছে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর।

বন্ধ করুন